অনলাইন ইনকাম | Online Income

 অনলাইন ইনকাম | Online Income


আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক কেমন আছেন। আশা করছি ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে গুরুত্বপূর্ণ একটা টফিক্স নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছে। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটা আপনারা সম্পূর্ণভাবে পড়বেন। অনেকে আছেন অনলাইনে টাকা উপার্জন করতে চান। কিন্তু কিভাবে উপার্জন করবেন সেটা আপনারা জানেন না। অনলাইনে টাকা উপার্জন করার বিভিন্ন মাধ্যম আছে। বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন মাধ্যমে অনলাইনে টাকা উপার্জন করে আসছে। আপনার জন্য খুশি হবেন, আজকে আমি আপনাদের সাথে অনলাইনে টাকার সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। আজকের আলোচনা থেকে আপনারা খুব সহজে বুঝে যাবেন কিভাবে অনলাইন থেকে টাকা আয় করতে হয়। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে মূল আলোচনা চলে যাই। আমাদের আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।

অনলাইনে আয়

অনলাইনে টাকা আর মাধ্যমগুলো নিচে পর্যায়ক্রমে উল্লেখ করা হলো:

১/ইউটিউবিং

২/ফেসবুক পেজের মাধ্যমে

৩/গ্রাফিক্স ডিজাইন করে

৪/ওয়েব ডিজাইনের ডেভেলপমেন্ট

৫/ android app development করে

৬। কপি পোষ্ট করে।

৭। সিপিএ মার্কেটিং করে।

৮। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

৯। দারাজ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

১০। ডিজিটাল মার্কেটিং

১১। অনলাইন বিজনেস

ইউটিউবিং: বর্তমানে ইউটিউবিং বড়  একটি উপার্জনের মাধ্যম। অনেকেই ইউটিউবের মাধ্যমে টাকা পয়সা ইনকাম করছে। ইউটিউবের মাধ্যমে উপার্জন করাটা খুবই সহজ। আপনি নিজেও চাইলে একটা ইউটিউব চ্যানেল খুলে টাকা পয়সা উপার্জন করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে অবশ্যই একটি ইউটিউব চ্যানেল। আপনি নিয়মিত আপনার চ্যানেলে ভিডিও আপলোড করবেন। আপনার এক হাজার সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ টাইম যখন পরিপূর্ণ হয়ে যাবে তখন আপনি মনিটাইজেশন এর এপ্লাই করার সুযোগ পাবেন। আপনার এপ্লাই আপলোড করার পরে আপনাকে পিন ভেরিফাই করতে হবে। তারপর আপনার ভিডিওতে এড শো হবে। এই এডের কারণে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আপনার ইনকাম হবে।

ফেসবুক পেজের মাধ্যমে: আপনি চাইলে ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এতে আপনাকে বেশি পরিমাণ কষ্ট করতে হবে না। আপনি ইউটিউব চ্যানেলে যেসব ভিডিও গুলো ছাড়বেন সেগুলোই আপনি ফেসবুক পেজে নতুন করে আপলোড করে দেবেন। এতেই যথেষ্ট। এরপর ১০ হাজার ফলোয়ার হতে হবে এবং 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম হতে হবে। তখন আপনি মনিটাইজেশনের এপ্লাই করতে পারবেন। এরপর আপনার ভিডিওতে এড শো হবে এবং আপনার ইনকাম হবে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন করা: গ্রাফিক্স ডিজাইন বর্তমান অনলাইন শাটার গুলোর মধ্যে সবচাইতে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনেকভাবে আয় করা যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইনের মধ্যে বিভিন্ন অপশন রয়েছে। যেমন টি শার্ট ডিজাইন , লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন , ফ্লায়ার ডিজাইন, ভুসিয়ার আর ডিজাইন ইত্যাদি। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আমাদের দেশের অনেক ফ্রিল্যান্সার প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। তাছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারলে আপনি বাংলাদেশ বিভিন্ন দোকানপাটগুলোতে অথবা অফিসিয়ালি ভাবে চাকরি পাবেন। আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ফ্রিল্যান্সার ফাইবার টুল আনসার ইত্যাদি মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে পারেন। আপনি চাইলে এসব মার্কেট রয়েছে মাসিক বেতন হিসেবে চাকরিও করতে পারেন। বিদেশে অনেক কোম্পানি আছে ফ্রিল্যান্সারদেরকে মাসিক চুক্তিতে চাকরি দেয়। আবার এই গ্রাফিক্স ডিজাইনার কাজ শিখে আপনি বিভিন্ন আইটি সেন্টারগুলোতে শিক্ষকতা পেশায় নিজেকে নিয়োগ করতে পারেন ভালো বেতনে। তো এভাবেও আপনি চাইলে ইনকাম করতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট: বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে একটি জনপ্রিয় এবং মূল্যবান সেক্টর অনলাইন জগতে। অনলাইন মার্কেটপ্লেস ও লোকাল মার্কেটপ্লেসে এই কাজটির ব্যাপক পরিমাণে চাহিদা রয়েছে এবং মার্কেটে ভ্যালু অত্যন্ত বেশি। আপনি চাইলে এই কাজটি শিখে আপনার কেরিয়ার করতে পারেন। এই কাজের রেঙ্ক ও দাম সব জায়গাতেই বেশি। এই কাজটি শিখে বাংলাদেশের অনেকেই ফ্রিল্যান্সার আবহাওয়া এবং ফাইবার থেকে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে। আবার অনেকে বাংলাদেশের লোকাল মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করেও ভালো পরিমাণে স্যালারি পাচ্ছে। আবার আপনি চাইলে এই কাজ সম্পর্কে অনলাইনে বিভিন্ন স্টুডেন্টদেরকে পড়াশোনা করিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে এই কাজটি কিভাবে করতে হয় কিভাবে শিখতে হবে এ সম্পর্কে কোর্স বানিয়ে বিক্রি করতে পারবেন।

অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট: ফ্রিল্যান্সিং এর জগতে এই সেক্টর জনপ্রিয়তা কম না। অন্যান্য সেক্টর গুলোর থেকে এই সেক্টরে আরো অধিক পরিমাণের জনপ্রিয় একটি সেক্টর। আপনি অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের কাজ শিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। আবার লোকাল মার্কেটপ্লেস এই কাজটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া আপনি নিজস্ব ভাবে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপ করে প্লে স্টোরে আপলোড করে সেখান থেকেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি এই কাজটি শিখে বিভিন্ন আইটি সেক্টরে চাকরি করে ইনকাম করতে পারবেন। অনলাইনে যদি আপনি বিভিন্ন স্টুডেন্টদেরকে এই কাজটি শিখান তাহলেও টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কপি পেস্ট করা: কপি পেস্ট করা হলো সকল অনলাইন সেন্টারগুলো থেকে অত্যন্ত সহজ একটি সেক্টর। আপনি চাইলে খুব সহজেই কপি পেস্ট করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

সিপিএ মার্কেটিং করা: সিপিএ মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে বেশি পরিমাণে সময় দিতে হয় না। আপনি আপনার সময় মত অল্প কিছু সময় দিই সিপিএ মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সিপিএ বলতে বোঝায় Cost Per Action. অর্থাৎ প্রতি অ্যাকশন পরিপূর্ণ হওয়ার জন্য ইনকাম। আপনি সিপিএ মার্কেটিং করতে হলে আপনাকে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর সেই মার্কেটপ্লেসের বিভিন্ন প্রোডাক্ট আপনি বিভিন্ন জায়গার শেয়ার করবেন, যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করতে পারেন। তবে শেয়ারের মাধ্যমে যখন কেউ ক্লিক করে তার ইমেইল অথবা ফোন নাম্বার সাবমিট করবে তখনই আপনার ইনকাম হবে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং: এফিলিয়েট মার্কেটিং অত্যন্ত চমৎকার একটি অনলাইন ইনকামের মাধ্যমে। আপনাকে অনলাইন শপিং এর বিভিন্ন ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করে এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হবে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বাংলাদেশি বিভিন্ন সাইট রয়েছে এবং বিদেশীও বিভিন্ন সাইট রয়েছে। বাংলাদেশে অ্যাফিলিয়েট করার জন্য সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে দারাজ। এছাড়া বিডিশপ সহ আরো অন্যান্য মার্কেটপ্লেস রয়েছে। বাংলাদেশের মার্কেট প্লেসে ইনকাম হয়তো অনেকটাই কম হয়। কিন্তু বিদেশী মার্কেটপ্লেসগুলোতে ইনকাম অত্যন্ত বেশি। যেমন amazon এ ইনকাম বেশি হয়। আবার আলিবাবা ডট কম আলি বাবা ডট এক্সপ্রেস এই সাইটগুলো তো ইনকাম ভালই হয়। আপনি যদি এসব মার্কেটপ্লেসগুলোতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে আপনি প্রচুর পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। কারণ এই সাইটগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোডাক্ট সেল হয়। আপনি এসব প্রওডআক্ট এর অ্যাফিলিয়েট লিংকগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করবেন। আপনার লিংকে ক্লিক করে যদি কেউ কোন প্রোডাক্ট কিনে তাহলে তার ইনকাম হবে। আপনি শুধু অনেকগুলা লিংক ১ ঘন্টা বা দেড় ঘন্টা ধরে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে আপনার অন্যান্য কাজকর্মে চলে যেতে পারবেন। এরপর আপনার লিংকে অটো ভাবে মানুষ ক্লিক করে যার যেটা প্রয়োজন সেটা কিনে নিতে পারবে। তখন আপনি দেখবেন আপনার একাউন্টে কমিশন গুলো আস্তে আস্তে যোগ হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ আপনার ইনকাম হচ্ছে।

এছাড়াও আপনারা চাইলে ডিজিটাল মার্কেটিং এবং অনলাইন বিজনেস করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাছাড়া অনলাইনে ইনকাম করার আরো বিভিন্ন মাধ্যম রয়েছে। আপনারা যদি আরও কিছু জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করবেন। আমরা খুব শীঘ্রই সে অনুযায়ী আর্টিকেল লিখে আপনাদের সাথে শেয়ার করে দেবো।

শেষ কথা

তো প্রিয় পাঠকগণ, উপরের আলোচনা থেকে খুব সহজেই আপনারা বুঝতে পেরেছেন অনলাইনে কিভাবে টাকা উপার্জন করবেন। এসেছি আজকের এই আর্টিকেলটি দ্বারা আপনাদের কিছুটা হলেও উপকার হয়েছে। আর্টিকেলটি অবশ্যই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট এবং শেয়ার করে দিবেন আর এই ধরনের আর্টিকেল নিয়মিত পেতে হলে আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গেই থাকবেন। এতক্ষণে আমাদেরকে সময় দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে এই পর্যন্তই। ফিরে আসবো নতুন কোনো আর্টিকেল নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।


আরো জানুন:

সকল সিমে টাকা কাটার সার্ভিস বন্ধ করূন 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন