ব্লগিং করে মাসে ৫০০০০ টাকা আয় করুন | Blogging Income

 ব্লগিং করে মাসে ৫০০০০ টাকা আয় করুন | Blogging Income

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক, কেমন আছেন? আশা করছি ভালই আছেন তো প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও একটি নতুন আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। তো আজকের আর্টিকেলটি আমি মনে করি প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আজকের আর্টিকেলটি আপনারা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পন্নভাবে পড়বেন। আশা করছি আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা কিছুটা হলেও উপকার পাবেন।অনেকেই অনলাইনে টাকা আয় করার বিভিন্ন মাধ্যম খুঁজে থাকেন। কেউ সঠিকভাবে আয় করার মাধ্যম খুঁজে পান, আবার কেউ পান না। কেউ আছেন বিভিন্ন ফেইক সাইডে কাজ করে পরিশ্রম করে ইনকাম করেন এবং পরবর্তীতে সেই পেমেন্ট পান না। এতে করে আপনার শ্রম এবং আশা-ভরসা সব বৃথা যায়। আবার যারা অনলাইনে আয় করার মত রিয়েল সাইট খুঁজে পান, তাদের জন্য তো আর কোন চিন্তা নাই। তারা নিশ্চিন্তে সেসব রিয়েল সেটে কাজ করার মাধ্যমে অনলাইনে বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা উপার্জন করে থাকেন। 

তো অনলাইনে বিভিন্নভাবে আয় করা যায়। তার মধ্যে ব্লগিং হচ্ছে অন্যতম একটি মাধ্যম। ব্লগিং করে অনেকে মাসে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছেন। ব্লগিং বিষয়টা কম বেশি সবারই জানা আছে, বিশেষ করে যারা অনলাইনে ইনকাম সম্পর্কে ঘাটাঘাটি করে থাকেন। অনেকে আছেন অনলাইনে এবং ইউটিউবে সার্চ করে থাকেন কিভাবে ব্লগিং করে আয় করা যায়। তো তাদেরকে উদ্দেশ্য করে আমি বলব, আপনি জেনে খুশি হবেন যে আজকে আমি আপনাদের সাথে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আয়ের বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আমাদের মূল আলোচনায় চলে যাই। আমাদের আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।

ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন

তবে ব্লগিং করতে হলে আপনাকে প্রথমে ব্লগিংয়ের নিশ সিলেক্ট করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কোন নিশ টা নিয়ে বেশি পরিমাণে লেখালেখি করতে পারবেন এবং কোন নিশটা নিয়ে আপনার কাজ করতে ভালো লাগবে। কেউ আছেন টেক রিলেটেড সলিউশন নিয়ে ভালো লেখালেখি করতে পারেন। তার কাছে ট্রেক রিলেটেড ব্লগিং করা খুবই বেটার হয়। আবার কেউ আছেন ঘোরাঘুরি করেন বিভিন্ন জায়গায়। তার মানে তিনি ঘোরাঘুরির বিষয়ে ব্লগিং ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। এইভাবে আপনাদের যার যেটা পছন্দ হয়, যে বিষয়ে আপনারা লেখালেখি করতে পারবেন ভালো এমন একটি নিষ অবশ্যই সিলেক্ট করে নেবেন। নিচে নিশ সিলেক্ট করা এবং ইনকাম নিয়ে উল্লেখ করা হলো:

ব্লগিং করে কিভাবে টাকা আয় করবেন

১/টেক রিলেটেড: সাধারণত সবাই চায় অল্প পরিশ্রম করে বেশি পরিমাণে অর্থ আয় করতে। তো আপনি যদি এমন কিছু খুঁজে থাকেন তাহলে আপনার জন্য এই নিশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ট্রেক রিলেটেড সমস্যায় প্রতিদিনই মানুষ নিয়মিত পড়ে থাকে এবং সেই সমস্যার সল্যুশন খোঁজার জন্য মানুষ youtube এর পাশাপাশি google এ ও সার্চ করে থাকে। তো আপনার ব্লগ সাইটে যদি এই ধরনের কোন সমস্যার সমাধান দেওয়া থাকে তাহলে ভিজিটরসরা খুব সহজে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে এবং আপনার লেখাগুলো পড়ে তাদের সমস্যার সলিউশন করবে। এতে করে তারা আপনার ওয়েবসাইটে অধিক সময় ধরে থাকবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে এড শো হবে। যার ফলে আপনার ইনকাম হবে। 

২/গেজেট রিলেটেড: বাজারে নিত্যনতুন বিভিন্ন ধরনের গেজেট আসে। আপনারা চাইলে গ্যাজেট রিলেটেড একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট খুলতে পারেন যেটাতে আপনারা নিত্য নতুন গেজেট নিয়ে প্রতিনিয়ত আলাপ আলোচনা করবেন। আবার চাইলে আপনারা সেই ব্লগিং ওয়েবসাইট দিয়ে গেজেটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন। যার ফলে আপনাদের দুইভাবে ইনকাম হবে। অর্থাৎ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে ইনকাম হবে এবং আপনার ওয়েবসাইটে এড শো হওয়ার মাধ্যমে ইনকাম হবে।

৩/এডুকেশনাল রিলেটেড: আমরা যারা পড়াশোনা করি তারা পড়াশোনা করতে গিয়ে নানান সমস্যায় পড়ে থাকি। আমরা আমাদের বিভিন্ন প্রশ্ন বা অংকের সমাধান ইউটিউব সহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন মাধ্যমে খুঁজে থাকি। যেমন গুগলেও আমরা আমাদের পড়াশোনার  অনেক টপিকস এর উত্তর খোঁজার জন্য সার্চ করে থাকি। তো আপনার যদি একটি এডুকেশনাল রিলেটেড ওয়েবসাইট থাকে সেই ওয়েবসাইটে যদি আপনি এডুকেশনাল রিলেটেড বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এবং সলিউশন দিয়ে থাকেন তাহলে স্টুডেন্টরা খুব সহজেই আপনার সেই ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে। যার ফলে তারা আপনার ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর এবং পড়াশোনার রিলেটেড সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবে। এতে করে তারা প্রতিনিয়ত আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে তাদের পড়াশোনার রিলেটেড সমস্যার সমাধান পাওয়ার জন্য। যার ফলে তারা ওয়েব সাইটে আসলেই তাদের সামনে প্রচুর অ্যাড শো হবে। এতে করে আপনার ইনকাম হবে ব্লগিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।

/অনলাইনে আয় রিলেটেড: বর্তমান যুগের দেশের ভিতর সবারই চাকরি পাইতে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। দেশের বেকারের পরিমান ইদানিং খুবই আশঙ্কা জনক হারে বাড়তেছে। যার ফলে বেকাররা অনলাইন ভিত্তিক ইনকামের পথ খোঁজার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন। তো আপনার যদি "অনলাইনে আয়" রিলেটেড একটি ওয়েবসাইট থাকে, আপনি সেখানে অনলাইনে আয়ের মাধ্যম গুলো তুলে ধরতে পারেন। যেমন প্লে স্টোরে নতুন কোন ইনকামের অ্যাপস আসলে বা গুগলের নতুন কোন ইনকামের ওয়েবসাইট আসলে আপনি সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন এবং ভিজিটর্সরা কিভাবে ইনকাম করতে পারে সেই বিষয়ে আপনি তুলে ধরতে পারেন। এতে করে কিন্তু তারা আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আয়ের মাধ্যম খুঁজে পাবে এবং আরো আয়ের মাধ্যম খুঁজে পাওয়ার জন্য আপনার ওয়েবসাইট প্রতিনিয়ত ভিজিট করে যাবে। যার ফলে তাদের চোখের সামনে অ্যাড শো হবে, যখনই তারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে। এর ফলে আপনার ইনকাম হবে এবং সেই ইনকাম গুগল এডসেন্স এ গিয়ে জমা হবে। তবে আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সঠিক অনলাইনে আয়ের সঠিক মাধ্যম গুলো আপনাকে তুলে ধরতে হবে। কোন ফ্যাক মাধ্যম তুলে ধরা যাবে না। যদি এমনটা করেন তাহলে কিন্তু আপনার ভিজিটরস এর সংখ্যা পরবর্তীতে কিন্তু আস্তে আস্তে কমে যাবে। যার ফলে একটা সময় আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর্স থাকবে না বলে আপনার আর ইনকাম হবে না।

৫/ব্লগিং রিলেটেড: অনেকে আছেন ভ্রমণ প্রেমী। আপনাদের মন চাইলে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমন করতে চলে যান। তো তারা চাইলে ভ্রমণ সম্পর্কে একটি ব্লগার ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। আপনি কোথায় গেলেন সেখানে গিয়ে কি দেখলেন কিভাবে গেছেন কি কি কার্যক্রম করেছেন এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে তুলে ধরবেন। অনেকেই আছেন যারা এই ধরনের ভ্রমণ সম্পর্কে জানতে খুবই আগ্রহী। তারা আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে। যার ফলে আপনি এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।

৬/গেমিং রিলেটেড: গেমিং  বর্তমান যুগে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বর্তমানে ইয়াং বয়সের তরুণরা ব্যাপক হারে গেমিং নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তো আপনার যদি একটি গেমিং রিলেটেড ব্লগার ওয়েবসাইট থাকে তাহলে মন্দ হয় না। আপনার ওয়েবসাইটে আপনি গেমিং রিলেটেড বিভিন্ন আলোচনা তুলে ধরবেন, গেমিং খেলতে বিভিন্ন সমস্যাগুলার সমাধান আপনার ওয়েব সাইটে থাকবে। যার ফলে যারা গেমিং প্রেমের তারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে এবং আপনার ইনকাম হবে।

৭/মোবাইল রিভিউ রিলেটেড: মোবাইল কোম্পানি গুলা প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন মোবাইল তৈরি করতেছে এবং সেগুলো মার্কেটে ছাড়তেছে। অনেকেই মোবাইলের দরদাম সম্পর্কে এবং মোবাইলের ডিটেইলস জানার জন্য গুগলের সার্চ করে থাকেন। তো আপনি চাইলে নিত্য নতুন মোবাইল নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে রিভিউ করতে পারেন। মোবাইল প্রেমীরা আপনার ওয়েব সাইটে আসবে এবং আপনার আর্টিকেলগুলো পড়তে থাকবে। যার ফলে সেখানে এড শো হবে এবং সেই অ্যাডের মাধ্যমে আপনার ইনকাম গুগল এডসেন্সে গিয়ে জমা হবে।

৮/ফুড রিলেটেড: অনেকে আছেন ফুড সম্পর্কে গুগলে সার্চ করে থাকেন। বিভিন্ন ফুডের দরদাম তারা গুগলের মাধ্যমে জানতে চান। তো আপনার যদি ফুড রিলেটেড একটি ব্লগার ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেটা কিন্তু আপনাকে অনেকটাই কাজে দেবে। আপনি নিত্য নতুন ফোন নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে লেখালেখি করবেন এবং সেগুলোর দাম সম্পর্কে তুলে ধরবেন ও কিভাবে সেই ফুড গুলো তৈরি করতে হয় সেই বিষয়ে আপনি লেখালেখি করবেন। যার ফলে যারা ফুড সম্পর্কে গুগলে সার্চ করে থাকে তারা আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে। এতে করে আপনার ইনকাম হবে।

৯/মিউজিক রিলেটেড: বর্তমানে দেশে মিউজিক প্রেমীদের অভাব নেই। আপনার যদি মিউজিক রিলেটেড একটি থাকে তাহলে মিউজিক প্রেমীরা আপনার সেই ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে। এতে করে আপনার ইনকাম হবে।

১০/কোকিং রিলেটেড: অনেকে আছেন রান্নাবান্না নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকেন। তারা রান্নাবান্না সম্পর্কিত নিত্য নতুন আইটেম সম্পর্কে জানতে চান। আবার অনেকেই আছেন বড় বড় রেস্টুরেন্টে কিভাবে প্রতিনিয়ত উন্নত মানের খাবার রান্না করে কাস্টমারদের আকর্ষণ করা যায় সে চিন্তা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তো তারা গুগলে রান্নাবান্নার নতুন আইটেমের সম্পর্কে সার্চ করে থাকেন।

 আপনার যদি একটি কুকিং রিলেটেড ব্লগার ওয়েবসাইট থাকে এবং সেখানে যদি আপনি রান্নাবান্না রিলেটেড বিভিন্ন আলোচনা শেয়ার করে থাকেন, নিত্যনতুন খাবারের রান্নাবান্না সম্পর্কে আলোচনা করে থাকেন, কোন খাবারটা কিভাবে রান্না করতে হয় সেগুলো নিয়ে যদি লেখালেখি করেন, তাহলে দেখবেন আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটরস হবে। তো এভাবে আপনি কুকিং রিলেটেড একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন।

১১/ অ্যাপ রিলেটেড: প্লে স্টোরে অনেক অ্যাপ আছে যেগুলো সম্পর্কে মানুষ জানে না কিভাবে ব্যবহার করতে হয় এবং অ্যাপের কাজ গুলো কি? তো আপনি সেই অ্যাপ গুলা খুজে একটি লিস্ট তৈরি করবেন। সেই লিস্ট অনুযায়ী আপনি একটি ব্লগার ওয়েবসাইট বানিয়ে সেই ওয়েব সাইটে অ্যাপ রিলেটেড আলোচনা করবেন। যার ফলে আপনার প্রচুর ভিজিটরস হবে এবং ইনকাম হবে।

১২/আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং রিলেটেড: বর্তমানে দেশের তরুণ প্রজন্ম ব্যাপক হারে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে ঝুঁকছে। সেই সাথে চাকুরীজীবীরা বা বয়স্করাও কিন্তু আউটসোর্সিংয়ের মধ্যে এগিয়ে আসছে। আপনি চাইলে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং রিলেটেড একটি ব্লগার ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। সেই ওয়েবসাইটে আপনি ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং রিলেটেড আলোচনা করবেন। সেখানে আপনি কিভাবে আউটসোর্সিং করতে হয় বা ফ্রিল্যান্সিং করতে হয়, কিভাবে শুরু করতে হবে, ফ্রিল্যান্সিং করতে হলে কি কি দক্ষতা লাগবে এবং কিভাবে টাকা ইনকাম হবে সেই বিষয়ে লেখালেখি করতে পারেন। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটে "আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং করার চিন্তাভাবনা আছে" এমন ভিজিটরসের পরিমাণ বেড়ে যাবে এবং আপনার ইনকাম হবে।

১৩/মুভি রিভিউ রিলেটেড: ঢালিওড, বলিউড ,টলিউডসহ ইংলিশ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপকহরের সিনেমা তৈরি হচ্ছে। আপনি চাইলে আপনার একটি ব্লগার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এসব সিনেমাগুলোর রিভিউ করতে পারেন। তো যাদের সিনেমা খুবই পছন্দের তারা আপনার এই ওয়েবসাইটের ভিজিট করবে। এতে করে তাদের কাছে এবং শো হওয়ার মাধ্যমে আপনার ইনকাম গুগল এডসেন্সে গিয়ে জমা হবে।

১৪/গান রিলেটেড: আপনি যদি গায়ক হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটটি গান রিলেটেড হিসেবে তৈরি করতে পারেন। আপনার যাবতীয় সকল গানের ইনফরমেশন সেই ওয়েবসাইটে শেয়ার করবেন। তো যারা গান পছন্দ করে তারা অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিট করবে। এতে করে আপনার ইনকাম হবে।

১৫/হেলথ টিপস রিলেটেড: স্বাস্থ্যের সমস্যাটা কম বেশি সবারই থাকে। প্রত্যেকেই মাঝে মাঝে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। ‌ তো তারা রোগের সমাধান অথবা কিভাবে ভালো থাকা যায় এক কথায় হেলথ টিপস খোঁজার জন্য গুগলে সার্চ করে থাকেন। আপনি চাইলে একটি হেল্প টিপস রিলেটেড ব্লগার ওয়েবসাইট বানিয়ে সেসব মানুষদেরকে সেবা দিতে পারেন। আপনার ওয়েবসাইটে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোন টিপস পেলে তারা অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে। এতে করে অবশ্যই আপনার ওয়েব সাইটে এড শো হয়ে এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম হবে।

১৬/কার্টুন রিলেটেড: বাচ্চাদের জনপ্রিয় হচ্ছে কার্টুন। আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটে কার্টুন রিলেটেড আর্টিকেল লিখতে পারেন। এভাবেও আপনি ব্লগার ওয়েবসাইটের দ্বারা ইনকাম করতে পারেন।

১৭/অ্যানিমেশন: আপনি চাইলে একটি এনিমেশন রিলেটেড ব্লগার ওয়েবসাইট খুলেও  টাকা ইনকাম করতে পারেন। আপনার এই ওয়েবসাইটে এনিমেশন সম্পর্কিত আর্টিকেল লিখবেন। তাতে করে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর হবে এবং আপনার টাকা ইনকাম হবে।

১৮/ফানি রিলেটেড: আপনি চাইলে ফানি রিলেটেড একটি ব্লগার ওয়েবসাইট খুলতে পারেন।

রোস্টিং করা কিন্তু একটি ফানি। তা আপনি চাইলে আপনার ব্লগার ওয়েবসাইটের এ ধরনের রোস্টিং করে ফানি আর্টিকেল লিখতে পারেন। এছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে বিনোদনের ফানি কথাবার্তা শেয়ারের মাধ্যমে আলোচনা করতে পারেন। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরস হবে এবং আপনার অর্থ উপার্জন হবে।

১৯/ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ: আপনি চাইলে অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে একটি ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। কোন অ্যাপ্লিকেশন কি কাজ করে এবং কিভাবে কাজ করে কিভাবে সেটআপ করতে হয় এগুলো নিয়ে একটু লেখালেখি করবেন। তারপর সেই এপ্লিকেশনটি ডাউনলোড লিংক দিয়ে দিবেন। যখন সবাই আপনার ওয়েবসাইটে এসে অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করতে পারবেন। এতে করে সে অনেকটা সময় আপনার ওয়েব সাইটে থাকো এবং আপনার ওয়েবসাইটে যে অ্যাডগুলো শো হল তা সে দেখতে পেল। এতে করে আপনার একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ এমাউন্ট ইনকাম হয়ে যাবে।

২০/ গল্প রিলেটেড: আপনি চাইলে একটি গল্প রিলেটেড ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষণীয় গল্প লিখবেন। যারা গল্প করতে ভালোবাসে তারা আপনার ওয়েবসাইটে গিয়ে গল্প পড়বে। তখন আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর হওয়ার কারণে আপনার ইনকাম হবে। আর এই ধরনের ওয়েবসাইটে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর হয়। কারন অনেক মানুষই আছেন যারা গল্প করতে খুবই ভালোবাসেন। আপনার লেখা গল্প গুলো অবশ্যই কপিরাইট মুক্ত এবং ইউনিক হতে হবে। গুগলের সকল পলিসি মেনে আপনি গল্প আপলোড করবেন। 

২১/ কবিতা: আপনি চাইলে কবিতার ওয়েবসাইট খুলতে পারেন। কবিতা রয়েছে জনপ্রিয়। আপনার কবিতা যদি মানসম্মত কবিতা হয় তাহলে সবাই আপনার কবিতা পড়ার জন্য ছুটে আসবে। প্রত্যেকেই প্রতিনিয়ত আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করবে। যার ফলে আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ একটা ইনকাম হবে। কবিতা ওয়েবসাইটে যদি আপনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অথবা কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা পোস্ট করে দেন তাহলে কিন্তু হবে না। কারণ এগুলা কপিরাইটের আওতাভুক্ত। কবিতা হতে হবে আপনার সম্পন্ন নিজের লেখা এবং ইউনিক। তাহলে আপনার ওয়েবসাইট এডসেন্স এপ্রোপ হবে এবং আপনার ইনকাম হবে এড মাধ্যমে

শেষ কথা

তো এই হলো আমাদের আজকের আলোচনা। আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা খুব সহজে জানতে পেরেছেন কিভাবে নিশ সিলেক্ট করে আপনারা ব্লগার ওয়েবসাইট খুলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটা থেকে আপনারা অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি দ্বারা আপনার কিছুটা হলেও উপকার হয়েছে এবং আর্টিকেলটি অবশ্যই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের মাঝে আর্টিকেলটা শেয়ার করে দিবেন এবং এই ধরনের নিত্য নতুন টিপস পেতে হলে সব সময় আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। এতক্ষণ সময় দিয়ে আমাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে এই পর্যন্তই। ফিরে আসবেন নতুন কোন টপিকস নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।


আরো জানুন:

আপনার ইমোতে কেউ চাইলে স্ক্রিনশট নিতে পারবে না || Imo Screen Sort Off
টেলিটকের ফ্রি ইন্টারনেট অফার || Free Internet Offer of Teletalk Sim




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন