আযান দেওয়ার সময় কানে হাত দেওয়া হয় কেন
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক আশা করছি আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। আপনাদের মাঝে আজকে আমি নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা অনেকে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন আযান দেওয়ার সময় কানে আঙ্গুল দেওয়া হয় কেন? আজকে আমি এই বিষয়টা নিয়ে আপনাদের সাথে সরাসরি আলোচনা করব। তো চলুন আলোচনায় চলে যাই। আমাদের আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।
আযান দেওয়ার সময় কানে হাত
আমরা যারা মুসলিম জাতি আছি, তারা আযানের শব্দ শুনে নামাজে যাই। প্রত্যেক দিনে পাঁচ ওয়াক্ত নামায নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের মুসলিমদের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়া ফরজ। আর এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সময়ই আযান দেওয়া হয়। আযানের শব্দ শুনেই আমরা সকল মুসলিমরা বুঝতে পারি নামাযের সময় হয়েছে। তখন আমরা সকল মুসলিমরা একযোগ হয়ে মসজিদের দিকে রওনা করি নামায পড়ার জন্য। মা বোনরা বাসায় আযান দিলেই নামায পড়ে নেন। আযানের শব্দ শুনেই আমার নামাযের দাওয়াত পেয়ে মহান আল্লাহর দরবারে নামাজ আদায় করি। আযান হচ্ছে মানুষদেরকে নামাজের জন্য আহ্বান করা অর্থাৎ ডাকা। বিশ্বের সকল মুসলিম দেশগুলোতে আযান দেওয়া হয়। আযানের প্রচলণ শুরু হয়েছে আমাদের মহানবী (স) এর আমল থেকে। হযরত বিল্লাল (রা) প্রথম আযান দেন আমাদের নবীজির নির্দেশে। সময় কানে আঙ্গুল দেওয়া হয়।
আরো পড়ুন:
কেন কানে আঙ্গুল দেওয়া হয় আযানের সময়
আযানের আবিষ্কার হয়েছে নামাজের থেকে। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু বলেন মুসলিমরা যখন হিজরত করার জন্য মদিনায় আসতো তখন তারা একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে নামাজ আদায় করতে। কিন্তু নামাজের জন্য তখন আঘাত দেয়া হতো না। অর্থাৎ এত ডাকাডাকি হতো না। তো এতে করে কিন্তু সবাই একত্রে সমস্ত হয়ে নামাজ আদায় করা হত না। বিভিন্ন জনে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময় নামাজ আদায় করত। তো এই কারণে একটি নির্দিষ্ট টাইমে নামাজ আদায় করার জন্য তারা সবাই আলোচনা করলেন। সাহাবীদের বিভিন্ন জনের বিভিন্ন পরামর্শ দিলেন। কেউ বলল নামাজের সময় হলে খ্রিস্টানদের মতো ঘন্টা বাজানো হোক। কেউ বলল ইহুদিদের মতো সিঙ্গায় ফু দেওয়া হোক। ঠিক তখনই হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বিল্লাল রাদিয়াল্লাহুকে বলেন বিল্লাল তুমি নামাজের জন্য আহ্বান করো তুমি আযান দাও (বুখারী ও মুসলিম)। তো বিল্লাল রাদিয়াল্লাহু কানে আঙ্গুল দিয়ে আজান দিতেন। তো এখানে আঙ্গুল দেওয়ার একটু রহস্য রয়েছে। হাদিসে বর্ণিত আছে হযরত মুহাম্মদ সাঃ বিল্লাল রাদিয়াল্লাহুকে কানে আঙ্গুল দিয়ে আযান দিতে বলেছেন। তিনি বলেছেন আযান দেওয়ার সময় কানে আঙ্গুল দিলে তোমার আওয়াজ উচ্চ হবে। তাহলে স্পষ্ট ভাবে বোঝা যাচ্ছে আওয়াজ অশু ও ফারি করার জন্য কানে আঙ্গুল দিয়ে আযান দেওয়ার জন্য নির্দেশ করা হয়েছে।নবজাতকের জন্মের সময় কিন্তু আজান দেওয়া হয়। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে নবজাতকের কানে প্রথম শব্দ আজানের ধনী হোক। এতে করে সন্তানের মনের মধ্যে সেটার স্বভাব বিবেক ও স্বাভাবিক গেথে যাক। তাই আমাদের ইসলাম ধর্মের নবজাতকের কানে আযান দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। যাতে নবজাতকের জীবন প্রথম থেকেই ইসলামের দিকে আসক্ত হয়ে পড়ে। সুতরাং আপনারা খুব সহজে বুঝতে পারলেন আযানের সময় কানে আঙ্গুল দেওয়া হয় কেন এবং নবজাতকের কানেও আযান দিয়ে আযানের ধনী তার মনে ও দেহে গেঁথে দেওয়া হয়।
শেষ কথা:
তো আশা করছি যে আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি দ্বারা আপনার কিছুটা হলে উপকার হয়েছে। যদি উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। আর এ দলের ইসলামিক পোস্ট পেতে হলে সবসময় আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। তো আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তী নতুন কোন আর্টিকেলে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।