প্যাসিভ ইনকাম | প্যাসিভ ইনকাম কিভাবে করা যায় | Passive Income

 প্যাসিভ ইনকাম | প্যাসিভ ইনকাম কিভাবে করা যায় | Passive Income

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক গণ আপনারা সকলে কেমন আছেন। আশা করছি ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনাদের মধ্য থেকে অনেকেই আমার কাছে বারবার জানতে চেয়েছেন, প্যাসিভ ইনকাম কি,অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম কিভাবে করা যায়। আজকে আপনারা যখনই আমাকে প্রশ্নটি করেছেন তখন থেকে আমি চিন্তা করে অনেকগুলো উত্তর একত্রে গুছিয়ে রেখেছি। চিন্তাভাবনা করেছিলাম সকল উত্তরগুলো একত্রিত করে একসাথে আপনাদের সামনে তুলে ধরবো। সেই তুলে ধরার সময়টা কিন্তু এখন হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরব আপনারা কিভাবে অনলাইনের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে ভিডিওর মূল কাজে চলে যাই। ভিডিওটি শুরু করা যাক।

প্যাসিভ ইনকাম | প্যাসিভ ইনকাম কিভাবে করা যায় | Passive Income

প্যাসিভ ইনকাম কি তা জানতে হলে আপনাকে অবশ্যই প্যাসিভ ইনকাম কাকে বলে সেই বিষয়ে অগ্রিম ধারণা থাকা লাগবে। সবাই আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করুন ‌। আজকের আর্টিকেল থেকে আপনি প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা লাভ করতে পারবেন।

প্যাসিভ ইনকাম কি

ইনকাম বলতে এমন ইনকাম বোঝা যে ইনকামে আপনি প্রথমত বিনিয়োগ করে পরবর্তীতে সারা জীবন নিশ্চিন্তায় ইনকাম করতে পারবেন। অর্থাৎ একবার ইনভেস্ট করে সারা জীবন বসে বসে আয় করাকে প্যাসিভ ইনকাম বলে। প্যাসিভ ইনকাম হল এমন একটি ইনকাম ব্যবস্থা যেখানে আপনাকে টাকা আয় করার জন্য সব সময় বা সারা জীবন লেগে থাকতে হয় না। এখন আমি আপনাদের সামনে অনলাইনে ইনকাম করার ২০ টি উপায় তুলে ধরলাম।

প্যাসিভ ইনকাম করার উপায়

প্রত্যেকটা মানুষের চায় জীবনে প্যাসিভ ইনকাম করার জন্য। বিশেষ করে ছাত্র জীবনে স্টুডেন্টরা পড়াশোনা করা অবস্থায় থাকে। তখন তারা কোন চাকরি বাকরি করতে পারে না অথবা অন্য কোনভাবে ইনকাম করতে পারে না। ঠিক সেই মুহূর্তে তাদের জন্য প্যাসিভ ইনকাম যদি থাকে তাহলে এই বিষয়টা তাদের জন্য অনেক বড় উপকার বয়ে আনবো। তারা যদি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারে, তাহলে সেখান থেকে খরচ নিয়ে তারা তাদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারবে, নিজস্ব হাত খরচ করতে পারবে এবং ইনকামের ভিত্তিতে সেভেনের খরচ ও চালাতে পারবে। শুধু স্টুডেন্টরা নয় অন্যান্য প্রত্যেকটা মানুষের চায়, জীবনে ইনকাম থাকলে কতই না ভালো হতো। তো সেজন্যই আপনাদের উপকারের স্বার্থে আজকে আমি প্যাসিভ ইনকামের বিষয়গুলো নিচে তুলে ধরব। অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করার উপায় গুলো নিম্নরূপ:

১/বই লেখা: আপনি যদি একজন ভালো লেখক হন তাহলে আপনি লেখা লেখি করতে পারেন। তো আপনি যদি লেখালেখি করে একটি বই বানাতে পারেন তাহলে সেটা কতই না ভালো হয়। একবার ভেবে দেখছেন আপনার লিখিত বইটি যদি একটু চমৎকার হয় এবং সেই বইটি যদি কোন জনপ্রিয় প্রকাশনা কোম্পানি থেকে প্রকাশ করা হয়, তাহলে তা আপনার কি পরিমান উপকারে আসবে। আপনার সেই বইটি সারা বাংলাদেশের আনাচে-কানাতে বিক্রি হতে থাকবে। আপনার ছবি দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারিং করা হবে। এতে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়বে। আপনি সবার কাছে একজন জনপ্রিয় লেখক হবেন। জনপ্রিয় লেখকের বই সাধারণত সব জায়গাতেই বেশি পরিমাণে বিক্রয় করা হয়। করে আপনার ইনকাম হবে। আর এই বই সব সময় এবং সারা জীবন বিক্রয় হতে থাকবে এবং আপনারও ইনকাম হতে থাকবে। আর এই ব্যবসাটা অনেক অতীত যুগ থেকেই  বর্তমান পর্যন্তও চলতেছে। কিন্তু এই লেখালেখির বিষয়টা একটু জটিল এবং সময় সাপেক্ষ। এতে আপনার ইনকাম হবে কিন্তু ইনকামটা ধীরে ধীরে হবে এবং সময় নিয়ে হবে।

২/বন্ধুদের উপর বিনিয়োগ: আপনি চাইলে আপনার বন্ধুদের উপর বিনিয়োগ করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। কিন্তু আপনার যে বন্ধু বসে থাকে কোন কাজকর্ম করে না, তার উপর যদি আপনি বিনিয়োগ করেন তাহলে এটা হবে আপনার সবচাইতে চরম বোকামি। কারণ সে শুধু আপনার কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে বসে বসে খরচ করবে এবং পরবর্তীতে আপনাকে আপনার পাওনা টাকা ফেরত দেবে না। কারণ সে তো কোন ইনকাম করছে না। আপনাকে দেখতে হবে আপনার কোন বন্ধু চাকরি বাকরি করতেছে বা ব্যবসা-বাণিজ্য এক্সপার্ট এবং সে আরো বড় ব্যবসায় হাত দেওয়ার জন্য বড় বিনিয়োগ খুঁজছে। আপনি আপনার সেই বন্ধুকে টাকা ধার দিয়ে তার ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে পারেন। কিন্তু এতে আবার সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। হোক না আপনার বন্ধু ব্যবসায় পটু, কিন্তু সে যদি খারাপ প্রকৃতির লোক হয়, তাহলে হয়তো আপনার সাথে বাটপারি করবে এবং আপনার পাওনা অর্থ আপনাকে ফেরত দেবে না, লাভ তো দূরের কথা।

৩/ স্টক মার্কেট বিনিয়োগ: কিছু স্টক কিনে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করতে পারেন। আপনার যদি পেনশন অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে তো কথাই নেই। এই টাকা দেন দেন সোদে আসলে বাড়বে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে এটা আপনার অন্যরকম একটা প্যাসিভ ইনকাম।

৪/ স্টক লটের ব্যবসা: আপনি চাইলে খুব সহজে স্টক লটের ব্যবসা করতে পারেন। সিজনের সময় আপনি কম দামে যে কোন মালামাল কিনে রাখতে পারেন যখন সিজন চলে যাবে তখন মালামাল সংকট দেখা দিবে ঠিক সেই মুহূর্তে আপনি মালামাল বেশি দামে বেচতে পারেন। আবার মালামাল গুলো আপনি অনলাইনে পোস্ট করে বা অনুরোধ বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ার করে রাখতে পারেন যার প্রয়োজন হবে সে আপনাকে নক দিবে এবং কিনে নিবে। তো এভাবেও আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

৫/ব্যান্ডের পোশাক: আপনার যদি একটি শপ থাকে তাহলে আপনি সেখানে ব্যান্ডের পোশাকগুলো বিক্রি করতে পারেন। এত করে প্রতিনিয়ত দোকানের সেল হবে এবং আপনার প্যাসিভ ইনকাম হবে।

৬/ অ্যামাজন ইনকাম: আপনি চাইলে amazon এর মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। আপনারা আমাজনে একটি  একটা একাউন্ট করে নিবেন। এর উপর একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেই মার্কেটে আমেরিকার লোকেশন দিয়ে সেট করে প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। আপনি যদি আমাজনের প্রোডাক্টের কিছু ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করেন সেই ভিডিও যতদিন থাকবে ততদিন আপনার অ্যামাজন থেকে প্রোডাক্ট সেল হতে থাকবে। আপনার ওয়েবসাইট যতদিন থাকবে ততদিন অ্যামাজন থেকে সেল হবে আর আপনি কমিশন পাবেন। তাহলে এটিও কিন্তু একটি প্যাসিভ ইনকামের আওতাভুক্ত।

৭/ ইউটিউবের মাধ্যমে ইনকাম: আপনার যদি একটা ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে আপনি ইউটিউব এর মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। আপনাকে প্রতিদিন কাজ করতে হবে না। সাধারণত দিনে অল্প কিছু সময় অথবা কয়েকদিনে অল্প কিছু সময় অথবা সপ্তাহে অল্প কিছু সময় কাজ করতে হবে। এই অল্প কিছু সময় আপনি একটি ভিডিও তৈরি করে আপনার চ্যানেলে আপলোড দেবেন। তাহলে এখান থেকে আপনার ইনকাম হবে। এই ইনকামটিও প্যাসিভ ইনকামের আওতাভুক্ত।

৮/ ব্লগিং করে ইনকাম: ব্লগিং করে ইনকাম হচ্ছে সেরা ইনকাম। আপনার যদি একটি ব্লগার ওয়েবসাইট থাকে এবং আপনি যদি দিনে দুই থেকে তিন ঘন্টা সময় করে লেখালেখি করতে পারেন তাহলে আপনি ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারবেন খুব সহজে। আপনি শুধু যখন সময় পান তখন একটি আর্টিকেল লিখে ওয়েবসাইটে পাবলিস্ট করে দিবেন আর আপনার ইনকাম হবে। এই ইনকাম ততদিন চলবে যতদিন আপনার ব্লগার ওয়েবসাইট থাকবে। তো এটি হচ্ছে প্যাসিভ ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। তাই আর দেরি না করে একটা ব্লগার ওয়েবসাইট খুলে খুবই দ্রুত লেখালেখি শুরু করে দিন এবং ইনকাম করুন।

৯/ গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে ফ্রি ইনকাম: আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ভালো মানের একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করে সেই ডিজাইনগুলোকে microstock সাইটগুলোতে পাবলিস্ট করে রাখতে পারেন। এর ফলে যদি কোন ব্যক্তি আপনার সে ডিজাইন ডাউনলোড করে থাকে তাহলে ডাউনলোডের ভিত্তিতে আপনার ইনকাম হবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন এইভাবে প্যাসিভ ইনকাম করা কতটা সহজ হয়ে গেছে। তাই আর দেরি কেন, এখনি শুরু করে দিন প্যাসিভ ইনকাম করা।

১০/ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে ইনকাম: বর্তমানে instagram ব্যাপক থেকে ব্যাপকতার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইন্সট্রাগ্রাম হচ্ছে ছবি ও ভিডিও শেয়ারিং একটি প্ল্যাটফর্ম। ইনস্টাগ্রাম ফেসবুকের মতোই একটি সোশ্যাল মিডিয়া। বাংলাদেশীদের চাইতে বিদেশীরা ব্যাপক হারে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে থাকেন। instagram সাধারণত সবাই মোবাইল দিয়ে ব্যবহার করে থাকেন। কাজেই ইনস্টাগ্রামে আপনি মোবাইলের সাহায্যে খুব দ্রুত ইনকাম করতে পারবেন। প্রোডাক্ট বিক্রি সিপিএ মার্কেটিং গ্রাফিক্স ডিজাইনার ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি কাজগুলো আপনারা মোবাইলের সাহায্যে করে ইনস্টাগ্রাম এর মাধ্যমে খুব দ্রুত উপার্জন করতে পারবেন। এভাবে আপনি খুব সহজে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

১১/প্রিন্ট অন ডিমান্ড: বর্তমানে প্রিন্ট অন ডিমান্ড ব্যাপক হারে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ইংরেজিতে হচ্ছে Print on Demand. একে সংক্ষেপে বলা হয় POD. অর্থাৎ এক কথা প্রিন্ট ডিমান্ড চলতে বুঝায় কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী প্রিন্ট করে দেওয়া। কোন মগ টি-শার্ট বিজনেস কার্ড আইডি কার্ড ইত্যাদি আপনি কাস্টমারের মতো ডিজাইন করে দিয়ে ইনকাম করবেন। এই ডিজাইনগুলো তৈরি করে আপনি বিভিন্ন প্রিন্ট অফ ডিমান্ড সাইটে আপলোড করে দেবেন। যদি কোন কাস্টমারের আপনার ডিজাইন গুলো ভালো লাগে তাহলে সে এই সাইটে নক করার সাথে সাথে সাইডের এডমিন সে ডিজাইনের পণ্য তৈরি করে কাস্টমারের কাছে পৌঁছে দেবে। অন্যতরের খরচটুকু রেখে দিয়ে বাকি খরচটুকু আপনাকে দিয়ে দেওয়া হবে। তো এইভাবে আপনারা খুব সহজে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

১২/অ্যামাজনের মাধ্যমে বই বিক্রি করে ইনকাম: অ্যামাজন হচ্ছে বিশ্বের এক নম্বর মার্কেটপ্লেস সাইট। প্রতিদিন লক্ষ কোটি প্রডাক্ট আমাজন থেকে সেল হচ্ছে। আপনি চাইলে লেখালেখির মাধ্যমে বিভিন্ন ইবুক তৈরি করে আমাদের মাধ্যমে সেল দিতে পারেন। অথবা আপনি লেখালেখি করার জন্য লেখক নিয়োগ করে বই বানাতে পারেন। 

১৩/Android App Development করে টাকা ইনকাম: আপনি যদি ভালো মানের একজন অ্যাপ ডেভেলপার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই মাধ্যমটিতে টাকা ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে অ্যাপ ডেভেলপারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অ্যাপ ডেভলপারের সংখ্যা আমাদের দেশে খুবই কম সংখ্যক রয়েছে। আপনি অ্যআপ ডেভলপার দক্ষ হয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারেন। যার ফলে আপনি অনেক টাকা পয়সা ইনকাম করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে অ্যাপ্লিকেশন বানিয়ে গুগল প্লে স্টোরে আপলোড করে দিয়ে সেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অ্যাপ ডেভেলপার এর চাহিদা কখনো কমবে না। আজীবন অ্যাপ্লিকেশন গুগল প্লে স্টোরে থেকে যাবে এবং আপনি আজীবন আপনার সেই তৈরিকৃত অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা ইনকাম করতে পারবেন। আবার আপনি চাইলে গুগল অ্যাড মুভির মাধ্যমে অ্যাপ তৈরি করে সেখানে অ্যাড শো করিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কথা ভাবে ইনকাম করা যায়। এইভাবে খুব সহজে সুন্দরভাবে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

১৪/ টুডি এনিমেশন কার্টুন তৈরি: এই কাজটার জনপ্রিয়তা সারা বিশ্বে কম নয়। আপনি যদি এই কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। তাছাড়া আপনি youtube এর মাধ্যমে এই এনিমেশন কার্টুনের ভিডিও তৈরি করে আপলোডের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যারা এই ধরনের অ্যানিমেশন কার্টুন ভিডিও তৈরি করে তাদের চ্যানেলে আপলোডের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণ ইনকাম করছে। আপনি চাইলে এই ধরনের অ্যামিনেশন ভিডিও তৈরি করে বাংলা থেকে ইংলিশে ইংলিশ থেকে বাংলা বা বাংলা থেকে অন্য কোন ভাষার ডাবিং করে একই ভিডিও আপনার কয়েকটি চ্যানেলে আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করতে পারবেন। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই কাজটির চাহিদা রয়েছে।

১৫/একাউন্টস এর পার্ট টাইম চাকরি: আমাদের দেশের আনাচে-কানাচের বিভিন্ন প্লেসে অনেক ছোট করার দোকানপাট থাকে যারা ফুল টাইমের জন্য কোন লোক নিয়োগ দিতে পারেন না। তো পার্টটাইম হিসেবে তাদের হিসাব নিকাশ করার জন্য লোক দরকার পড়ে। তারপর আর যদি হিসাব নিকাশে কম্পিউটারের কাজের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে নিয়োগ করে পার্টটাইম হিসেবে জব করে টাকা ইনকাম করতে পারেন যা প্যাসিভ ইনকামের আওতাভুক্ত।

১৬/ অনলাইনে কোর্স তৈরি করা: বর্তমান যুগ হচ্ছে অনলাইনের যুগ। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়সী পর্যন্ত সবাই অনলাইন এর সাথে কম বেশি করে সম্পৃক্ত আছে। বর্তমানে সবাই অনলাইনে বিভিন্ন কিছু নিয়ে ঘাটাঘাটি করে যা শিক্ষনীয় হিসেবে সবার কাজে লাগে। তো আপনি যদি অনলাইনে দক্ষ হয়ে থাকেন অনলাইনের বিভিন্ন নিয়ে কোর্স তৈরি করতে পারেন। এই কোর্সগুলো যদি একবার কষ্ট করে তৈরি করে আপনার ওয়েবসাইটে পাসওয়ার্ড দিয়ে আপলোড করে রাখেন অথবা ডিভিডি আকারে সংরক্ষণ করে রাখেন তাহলে সেটা আপনাকে একটা ইনকাম এনে দিবে। কোর্সগুলো যার প্রয়োজন হবে সে আপনাকে নক করে কোর্স কিনলে এবং আপনি কোর্স অনলাইনে সেল করে টাকা ইনকাম করবেন। যত বার, যত বছর পরে নক করবে তত বছর পরে আপনি বিক্রি করতে পারবেন কোর্সগুলো এবং আপনার কাছে টাকা আসবে। এতে আপনার বারবার কষ্ট করতে হবে না বরং একবার কষ্ট করলেই আপনি সেই কোর্সগুলো আজীবন বিক্রি করতে পারবেন। এভাবে আপনি প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন।

১৭/ এসইও শিখে ইনকাম: আপনি যদি এসিও শিখেন তাহলে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন। এসইও বলতে বোঝায় কোন ওয়েবসাইটের একটা পেজকে গুগলের প্রথম পজিশনে নিয়ে আসা। মনে করেন আপনি গুগলে সার্চ করলেন "অনলাইনে কিভাবে আয় করা যায়"। সার্চ করার সাথে সাথে প্রথম যেই পেজটি আপনার কাছে শো হবে এই পেজটি যেই ওয়েবসাইটের সেই ওয়েবসাইটের এই পেজটিকে এসইও করা হয়েছিল। তাই এই পেজটি গুগলের প্রথম পজিশনে আপনার নিকটে শো করেছে। এসইও বলতে বোঝায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। সার্চ ইঞ্জিন বলতে google, ইয়াহু , বিং এসবকে বুঝায়। এগুলোর মধ্যে সবচাইতে সেরা হচ্ছে গুগল মামা। বর্তমানে এসিও সব জায়গার দরকার হয়। ইঞ্জিন বলতে একটি গাড়ির প্রধান অংশকে বোঝায় যেটি ছাড়া গাড়ি অচল। তো অনলাইনের ইঞ্জিন  হচ্ছে তো প্রধানত গুগল। অপটিমাইজেশন হচ্ছে গুগলের সকল নিয়ম কানুন মানা। তো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলতে বোঝায় "কোন একটি সার্চ অপশন যেমন- গুগলে আপনার ওয়েবসাইটের পেজকে গুগলের সকল নিয়ম-কানুন মেনে প্রথম পজিশনে নিয়ে আসা। আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে তাহলে এসিও দরকার হবে। আবার আপনার যদি একটি ব্লগার ওয়েবসাইট বা অন্য কোন ওয়েবসাইট থাকে তাহলে আপনার এসিও দরকার হবে। কারণ আপনার সেই ওয়েবসাইটের যে কোন একটি পেজকে গুগলের প্রথম পজিশনে নিয়ে আসতে হবে। এজন্য আপনাকে সেই পেজের এসইও করতে হবে। আর সেই ওয়েবসাইটটি যদি আপনার হয়, সেই পেজটি যদি আপনার হয় তাহলে এসিও করলে তো কোন কথাই নেই। কারণ এসিও করলে আপনার সেই ওয়েবসাইটের পেজটি প্রথম পজিশনে চলে আসবে। তখন বেশি পরিমাণে মানুষ সেখানে ক্লিক করবে। আর আপনার ইনকামের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। এই এসিওর কাজটি আপনাকে সবসময় করতে হয় না। আপনি যখন সময় পান তখন সময় নিয়ে দুই তিন ঘন্টা কাজ করলেই যথেষ্ট। কিন্তু আপনার ইনকাম টা সারাজীবন হতে থাকবে। এভাবেও আপনি অনলাইন এসিওর মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

প্যাসিভ ইনকাম আয়ের সেরা মাধ্যম কেনো

কোন ব্যক্তি যে কাজ করে তার বিনিময়ে তাকে অর্থ দেওয়া হয়। আপনার গায়ে শক্তি আছে বলেই এখন আপনি কাজ করতে পারেন। একটা সময় আপনার গায়ে কোন শক্তি থাকবে না, তখন আপনি কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু সে সময় আপনার খরচ গুলো কিন্তু থেমে থাকবে না । অবশ্যই আপনাকে খরচ করতে হবে। তো আপনার আয়ের যদি কোন উৎস না থাকে তাহলে আপনি খরচ করবেন কিভাবে। আবার আপনি কাজ করতে পারছেন না বিধায় ইনকামও করতে পারছেন না, যেহেতু আপনার শরীরে বৃদ্ধ বয়সে কোনো শক্তি থাকছে না কাজ করার মত। তো আপনি চাইলে প্যাসিভ ইনকামের একটি উৎস তৈরি করে রাখতে পারেন, যাতে করে আপনি অক্ষম বা বৃদ্ধ হয়ে গেলে সেটা থেকে সবসময় বা আজীবন একটা ইনকাম আসতে থাকে। তাহলে আপনি আপনার জীবনের দুর্দিনের সময় ভালোভাবে চলতে পারবেন। উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে সবাই সাধারণত প্যাসিভ ইনকামের একটা পথ তৈরি করে রাখে। যার ফলে তারা বৃদ্ধ বয়সে বা অক্ষম অবস্থায় খুব সুন্দর ভাবে চলতে পারে। ফলে তারা তাদের প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে পারে। যেহেতু তাদের প্যাসিভ ইনকামের পথ রয়েছে, তাই তারা কাজ না করলেও তাদের অটো ভাবে ইনকাম আসতেই থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারলেন জীবনের প্যাসিভ ইনকামের উৎস থাকাটা খুবই জরুরী।

শেষ কথা 

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ, আমাদের আজকের ব্লগ থেকে আপনারা অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম কি, প্যাসিভ ইনকাম করার নিয়ম ও উৎস সম্পর্কে জানতে পারলেন। ব্লগটি ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন যাতে করে সেও অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করার মাধ্যম সম্পর্কে জানতে পারে। আপনার যদি প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে আরো জানার প্রয়োজন পড়ে তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করবেন, আমরা প্যাসিভ ইনকাম সম্পর্কে প্রয়োজনে আরো তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আজকে এখানেই শেষ করলাম। সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।


আরো জানুন:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন