ইফতারের দোয়া | Iftarer Doya
আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন বন্ধুগণ??? আশা করছি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে নতুন টপিক্স নিয়ে চলে আসছি। আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন ভাবে পড়বেন।
পবিত্র মাহে রমজান
একটি বছর ঘুরে আবারো ফিরে আসলো পবিত্র মাহে রমজান। রমজান মাস পবিত্র মাস। গত রমজান মাসে যারা ছিলেন তারা এই রমজানে থাকবেন না। এটাই স্বাভাবিক। রমজান মাসে একটি ফজিলত পূর্ণ মাস। অনন্য সময় ইবাদাত করলে যেটুকু সওয়াব পাওয়া যায় রমজান মাসে তার ফজিলত বহু গুনে বেড়ে যায়। রমজান মাসে যদি আপনি একবার সুবহানাল্লাহ পড়েন অন্যান্য দিনের তুলনায় 70 গুণ বেশি পরিমাণে নেকি আপনার আমলনামায় লেখা হবে। রমজান মাসে সাধারণত মুসলিমরা রোজা রেখে থাকেন। ভোরবেলা যখন সেহরির জন্য হর্ন বাঁজানো হয়, তখন মুসলিমরা খুব কষ্ট করে ঘুম ভেঙ্গে উঠেন এবং দোয়া দরুদ পড়ে তাদের সেহরি খান। টানা সারাদিন রোজা রাখার পর মুসলিমরা যখন সন্ধ্যার একটু আগে ইফতারের সময় হয়, তখন ইফতারের হর্ন বাজানো হয়, তখনই তারা তাদের রোজা ভাঙ্গার জন্য ইফতার করেন। তো ইফতার করা কিন্তু সোয়াবের কাজ। ইফতার করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইফতারের দোয়া পড়েই ইফতার করতে হবে। অনেকেই আছেন ইফতার করবেন কিন্তু ইফতারের দোয়া জানেন না। তো জানতে না পারেন এটাই স্বাভাবিক। না জানলে আজকে আমাদের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা ইফতারের দোয়াটি জেনে নিতে পারবেন। তো রোজা ভাঙ্গার আগে ইফতারের জন্য কি দোয়া পাঠ করবেন তা নিচে উল্লেখ করা হলো:
ইফতারের দোয়াটি হল:
আরবী:
بِسْمِ الله - اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আলা রিযক্বিকা আফত্বারতু।
অর্থ: হে আল্লাহ আমি তোমারই জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমার দেওয়ার রিযিক দ্বারা ইফতার করতেছি।
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহুু আলাইহিওয়া সাল্লাম অসংখ্য হাদিসে ইফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন ইফতারের সময় হওয়ার সাথে সাথে যারা দেরি না করে ইফতার করবে, এইভাবে যতদিন পর্যন্ত এই নিয়ম পালন করে ইফতার করবে ততদিন পর্যন্ত তারা কল্যাণ লাভ করবে।
ইফতারের সময় করণীয়
১/ সময় হওয়ার সাথে সাথে ইফতার করা।
২/ ইফতারের আগে অবশ্যই ইফতারের দোয়া পড়তে হবে।
৩/ইফতার খেজুর দিয়ে শুরু করতে হবে। কারণ আমাদের নবীজি প্রথমে খেজুর দ্বারা ইফতার শুরু করতেন এরপর অন্যান্য খাবার খেতেন।
৩/ ইফতারের সময় অন্য কোন ধরনের কাজ কর্ম না করা।
৪/ আল্লাহর ধ্যান মাথায় রেখে ইফতার করা।
৫/ ইফতারের সময় বেশি বেশি করে দোয়া করা।
৬/ ইফতারে অতিরিক্ত ভারী পরিমাণে খাবার না খাওয়া।
৭/ ইফতার করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে দেরি হওয়ার কারণে মাগরিবের জামাত ছুটে না যায়।
৮/ মাগরিবের জামাত পরে এসে, এরপর তৃপ্তি সহকারে যতটুকু পরিমাণ খাবার খাওয়া যায়। শরীর সুস্থ থাকবে এবং ভালো থাকবে।
রমজান মাসে মুসলিমদের করণীয়
রমজান মাসে প্রত্যেকটি মুসলিম ব্যক্তির জন্য রোজা রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ বলেছেন, রোজাদারদের পুরস্কার আল্লাহ নিজ হাতে দিবেন। যারা আল্লাহর জন্য রোজা রাখে এবং ইফতারের সময় ইফতার করে তাদের জন্য আল্লাহ খুবই খুশি হন। তাদেরকে আল্লাহপাক উত্তম পুরস্কার দান করবেন। রোজা সেহরি এবং ইফতার একমাত্র শুধুই আল্লাহপাকের জন্য। প্রত্যেকটা মুসলিম নর ও নারীর জন্য রোজা রাখা ফরজ। কাজেই আমরা যারা মুসলিম আছি তারা সবাই রোজা রাখার চেষ্টা করব। এবং রোজা রাখার জন্য ছোট বড় সকল মানুষকে উৎসাহিত করুন। আমরা সবাই নিয়মিত সেহরি খেয়ে রোজা রাখব এবং ইফতারের সময় দেরি না করে ইফতার করব। ইফতার করার সময় অবশ্যই ইফতারের দোয়া পড়ে নেব।
শেষ কথা
তো প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোন, আপনারা খুব সহজেই রোজার সময় কিভাবে দোয়া করার মাধ্যমে ইফতার করবেন তা অবশ্যই জানতে পারলেন উপরের আলোচনা থেকে। আশা করছি আর্টিকেল টি আপনাদের কাছে কিছুটা হলেও ভালো লেগেছে। আর্টিকেলটি দ্বারা আপনার একটু হলেও উপকার হয়েছে। যদি উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। আর এই ধরনের নতুন ইসলামিক খবরাখবর সবসময় জানতে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করবেন। এতক্ষণে আমাদের পাশে সময় দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে নতুন কোন আর্টিকেলে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
আরো জানুন:
রোজার নিয়ত