রোজার নিয়ত | Roja | Roja Rakhar Niot
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা, কেমন আছেন? আশা করছি আল্লাহর রহমতে ভালই আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ার বরকতে ভালো আছি। তো আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ টপিকস নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। অনেকে আছেন রোজা রাখেন কিন্তু রোজার নিয়ত সম্পর্কে জানেন না। আজকে আমি আপনাদেরকে বলে দেবো আপনারা রোজা রাখার সময় রোজার নিয়ত কিভাবে করবেন। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আমাদের মূল আলোচনায় ফিরে যাই। আমাদের আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।
রমজান মাস রমাদানুল মোবারক
দীর্ঘ এক বছর ফিরে এলো মাহে রমজান। রমজান মাস অত্যন্ত পবিত্র মাস এবং মুসলিমদের মুক্তির মাস। এই মাসে মুসলিমগণ অন্যায় অপরাধ এবং পাপ কাজ থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেন। সকল মুসলিম ভাই ও বোনেরা আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকার চেষ্টা করেন। রোজার এই একমাস মুসলিমগণ সিয়াম সাধনা করে থাকেন। রোজার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায়। বিপুল সওয়াব এবং অনুকম্পায় সমৃদ্ধশালী করা যায় নিজেকে। আর রোজার সমাপ্তি ঘটে সন্ধ্যায় ইফতার করার মাধ্যমে। রোজা হচ্ছে মুসলিমদের পাঁচটি মূল ভিত্তির মধ্যে তৃতীয় ভিত্তি। সূর্য উদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার খাওয়া বা পান করা থেকে বিরত থাকা এবং সেইসাথে যাবতীয় সকল ভোগ বিলাস থেকে বিরত থাকাকেই রোজা বলে। প্রতিটি সুস্থ সবল মুসলিমদের জন্য রমজান মাসের রোজা রাখা ফরজ। রোজা পালনের সেহরি এবং ইফতারের যেমন গুরুত্ব রয়েছে ঠিক তেমনি রোজার নিয়তের যথেষ্ট পরিমাণ গুরুত্ব রয়েছে। আপনাকে সেহরি খাওয়ার আগে অবশ্যই রোজার নিয়ত করে সেহরি খেয়ে রোজা রাখতে হবে।
সেহরি খাওয়ার আগে দোয়া
সেহরি খাওয়ার জন্য আলাদা কোন দোয়া নেই। তাই সেহরি খাওয়ার আগে অন্যান্য খাবার খাওয়ার পূর্বে যেই দোয়া পড়ে নিতে হয় সেই দোয়া পড়া উত্তম।
দোয়া পড়বেন,
আরবীতে: بسم الله وعلى بركةالله بعالى
বাংলা উচ্চারণ: বিসমিল্লাহি ওয়া আলা বারকাতিল্লাহ
দোয়ার অর্থ: আল্লাহ তাআলার নামে খাবার খাওয়া শুরু করছি এবং আল্লাহ তাআলার বরকত প্রার্থনা করছি। (সাআলাবী)।
রোজার নিয়ত
রোজার নিয়ত আরবিতে:
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
আরো জানুন:
থাইরয়েড কি? থাইরয়েড এর ধরন কেমন? থাইরয়েড এর লক্ষণ, প্রকারভেদ ও চিকিৎসা
রোজার সম্পর্কে কিছু কথা
রোজার মাস পবিত্র মাস এবং বরকতময় মাস। অন্যান্য সময় একটি ইবাদত করলে যে পরিমাণ সওয়াব হয় এই মাসে ইবাদত করলে সে সোয়াবের পরিমাণ 70 গুণ বেশি পরিমাণে বেড়ে যায়। রোজা প্রত্যেক মুসলিমদের জন্যই ফরজ। অর্থাৎ বাধ্যতামূলক। নামাজ পড়া যেমন ফরজ কাজ অর্থাৎ বাধ্যতামূলক ঠিক তেমনি রোজা রাখা ফরজ কাজ অর্থাৎ বাধ্যতামূলক। নামাজ না পড়লে যেমন গুনাহ হবে ঠিক তেমনি রোজা না রাখলেও গুনাহ হবে। যেই বান্দা রোজা রাখবে সেই বান্দার প্রতি মহান আল্লাহ সন্তুষ্ট থাকেন। আল্লাহপাক বলেছেন রোজাদারদের পুরস্কার আল্লাহ পাক নিজেই দিবেন। তাহলে বুঝতেই পারলেন রোজা রাখা প্রত্যেকটা মুসলিমদের জন্য কত অধিক পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই আমরা সকল মুসলিমগণ রোজা রাখার চেষ্টা করব। রোজা রাখার জন্য অপর মুসলিম ভাই বোনকে উৎসাহিত করবো। কোন অবস্থাতেই রোজা ছাড়া যাবে না। আল্লাহ পাক আমাদের সকল মুসলিমদেরকে রোজা রাখার তৌফিক দান করুক, আমিন।
শেষ কথা:
তো প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনারা সেহরি খাওয়ার আগের দোয়া এবং রোজার নিয়ত সম্পর্কে অবহিত হয়েছেন। আশা করছি আর্টিকেলটা দ্বারা আপনাদের কিছুটা হলেও উপকার হয়েছে। আর্টিকেলটি অবশ্যই আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আর্টিকেলটা আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন যাতে সে ও রোজার নিয়ত সম্পর্কে জানতে পারে। আর কমেন্ট বক্সে অবশ্যই আপনার মন্তব্য জানাতে কিন্তু ভুলবেন না। এই ধরনের আরো নিত্য নতুন ইসলামিক টিপস সম্পর্কে জানতে হলে প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। এতক্ষণে আমাদের ওয়েবসাইটে সময় দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে এই পর্যন্তই। ফিরে আসবো নতুন কোন আর্টিকেল নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন:
vivo Y21 মোবাইলের বর্তমান মূল্য কত