থাইরয়েড কি | থাইরয়েড কেন হয় | থাইরয়েডের ধরন, লক্ষণ, রোগ নির্ণয়, প্রতিকার ও চিকিৎসা

থাইরয়েড কি | থাইরয়েড কেন হয় | থাইরয়েডের ধরন, লক্ষণ, রোগ নির্ণয়, প্রতিকার ও চিকিৎসা

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক গণ কেমন আছেন? আশা করছি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আজকে একটা নতুন টপিক্স নিয়ে চলে আসছি আপনাদের মাঝে। তো আশা করছি আজকের টপিকসটি সবাই পড়বেন। আজকের টপিকস বিশেষ করে তাদের জন্য বেশি পরিমাণে গুরুত্বপূর্ণ যারা google এ বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতার বিষয় জানতে চান এবং অসুস্থতার সমাধান চান। 

আজকে আমরা যে রোগটি নিয়ে আলোচনা করবো সেই রোগটির নাম হচ্ছে থাইরয়েড। 
তো থাইরয়েড হচ্ছে একটি রোগের নাম।

আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব থাইরয়েড কি? কেন এই রোগটি হয়? এর লক্ষণ কি এবং এর চিকিৎসা কি? কিভাবে এই রোগটি নির্ণয় করা হয় এবং আপনারা প্রতিরোধ করবেন। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমাদের মূল আলোচনায় চলে যাই। আমাদের আজকের আলোচনা শুরু করা যাক।
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে থাইরয়েড সমস্যায় আক্রান্ত রোগের সংখ্যা অনেক। সারাদেশে প্রায় ৭০ কোটিরও বেশি মানুষ থাইরয়েড সমস্যা আক্রান্ত। তার মধ্যে আমাদের বাংলাদেশের প্রায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছেন। আমরা অনেকেই এ রোগের নাম শুনলে অথবা আশেপাশে কোন রোগ থাকলেও কিংবা আমরা নিজেরা আক্রান্ত হলেও এ রোগ সম্পর্কে আমরা খুব একটা বেশি জানি না।
কিন্তু এই থাইরয়েড সম্পর্কে আমাদের জানা অত্যন্ত দরকার। থাইরয়েড ছোট বড় যে কারও হতে পারে। পুরুষদের চেয়ে বিশেষ করে নারীরা থাইরয়েড রোগে আক্রান্ত হয় বেশি পরিমানে। তাই আমাদের আজকের এই আর্টিকেল থেকে আমরা জানবো:


১/থাইরয়েড কি?
২/থাইরয়েড হওয়ার কারণ কি?

৩/ থাইরয়েড কত প্রকার ও কি কি?

৪/ থাইরয়েড এর লক্ষণ কি?

৫/ থাইরয়েড এর প্রতিকার কি?

৬। থাইরয়েড কিভাবে নির্ণয় হয়?

৭/ থাইরয়েডের চিকিৎসা কি?

৮। থাইরয়েড হলে খাওয়ার নিয়মকানুন,

থাইরয়েড কি?

থাইরয়েড হচ্ছে একটি গ্রন্থের নাম। অর্থাৎ থাইরয়েড আমাদের শরীরের একটি অঙ্গ প্রতঙ্গের নাম। থাইরয়েড আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোন গ্রন্থি। এটা থাকে আমাদের গলার ষড়যন্ত্রের দুই পাশে। আমাদের গলার সামনের দিকে যে প্রজাপতি নামক গ্রন্থ থাকে সেটি হচ্ছে থাইরয়েড। অর্থাৎ শাসযন্ত্রের সামনের ছোট মাংসপিণ্ডটি হচ্ছে থাইরয়েড।  এটার রং হচ্ছে বাদামী। এই গ্রন্থি আমাদের শরীরের কিছু অধ্যাবস্যকীয় হরমোন উৎপাদন করে থাকে।থাইরয়েড হরমোনের মধ্যে ট্রাইডোথাইরোনাইন  (T3) ও থাইরক্সিন  (T4) আয়োডিন ও টাইরোসিন দিয়ে তৈরি হয়। থাইরয়েড ক্যালসিটোনিন নামক এক ধরনের হরমোন তৈরি করে। ইহাই ক্যালসিয়াম হোমিওস্ট্যাসিসে অবদান রাখে।  আর এই হরমোন সারা শরীরে ছড়িয়ে থাকে। থাইরয়েড এর কাজ হচ্ছে আয়োডিন এর মাধ্যমে শরীরের প্রয়োজনীয় থাইরয়েড হরমোন বানানো। কিন্তু কোন কারনেই গ্রন্থির হরমোন নিঃসরণে কোন প্রকার ব্যতিক্রম যদি হয়ে যায় তখনই কিন্তু এটি বিভিন্ন ধরনের রোগ ঘটাতে সক্ষমতা লাভ করে। এর ফলে শরীরের নানান ধরনের বিপত্তি দেখা দেয়। যার ফলে মানুষের শরীরে থাইরয়েড রোগ হয়।


থাইরয়েড হওয়ার কারণ কি

থাইরয়েড হওয়ার  নানান কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে দুটি কারণ অন্যতম
১/ জেনেটিক কারণ
বংশগতি বাবা-মা দাদা-দাদীদের কিংবা পূর্ব পুরুষদের থাইরয়েড রোগ হয়ে থাকলে, তাহলে তার পরবর্তী প্রজন্মের থাইরয়েড রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


২/ আয়োডিনের অভাবে:

আয়োডিন এর অভাবে থাইরয়েড হয়ে থাকে। শরীরে থাইরয়েড হরমোন তৈরিতে আয়োডিন ব্যবহার করে থাকে। যদি আয়োডিনের ঘাটতি পরে থাকে তাহলে থাইরয়েড পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন তৈরি করতে পারে না। যার ফলে থাইরয়েড রোগ দেখা দেয়।


থাইরয়েডের  সমস্যা ৪ ধরনের হতে পারে। যেমন:


১) হাইপোথাইরডিজম:  যখন থাইরয়েডে হরমোন কমে যায়, তখন হাইপোথাইরডিজম রোগটি দেখা দেয়।

২) হাইপারথাইরডিজম: থাইরয়েডে যখন হরমোন বেড়ে যায়, তখন হাইপারথাইরডিজম হয়।

৩) গয়টার, গলগন্ড বা গ্যাগ : আমাদের গলার সামনের দিকে গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি থাকে। এটাকে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড বলে। এই গ্রন্থির অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়াকে গলগন্ড বা গ্যাগ রোগ বলে।
আরেকটু বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে,
 থাইরয়েড গ্রন্থটি ফুলে ছোট থেকে বড় হয়ে যেতে পারে। একে গলগন্ড রোগ বলা হয়ে থাকে। যেহেতু আয়োডিনের অভাবে এটি হয়ে থাকে যার ফলে গ্রন্থটি ঠিকমতো হরমোন তৈরি করতে পারে না। কিন্তু তারপরে এটি চেষ্টা করে শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে হরমোন তৈরি করতে। আর যার ফলাফল এটি নিজেই বলে ফেঁপে বড় হয়ে ওঠে। যার ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি থাইরয়েড সমস্যায় ভুগে থাকেন। এ কারণে বলা হয় যেসব শিশু বা মানুষ আয়োডিনের শূণ্যতায় ভুগে থাকেন। তাদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা সবচাইতে বেশি।

৪) থাইরয়েড নডিউল: থাইরয়েড গ্রন্থিতে যে টিউমার হয়, সেটাকে থাইরয়েড নডিউল বলে।

থাইরয়েড এর লক্ষণ:

১/গলার স্বর ভাঙ্গা
২/ হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া
৩/ত্বক অসুস্থ হয়ে যাওয়া
৪/ চোখগুলো প্রায় সময় জ্বালাপোড়া করা
৫/ আঙ্গুলের নখ গুলো পুরু ও ভঙ্গ হয়ে যাওয়া।
৬/ চুল মোটা হয়ে যাওয়া এবং চুল পাতলা হওয়া, উপড়ে যাওয়া
৭/আইবুড়ু বাইরের দিক পাতলা হয়ে যাওয়া।
৮/ অল্পতেই বেশি পরিমাণে ক্লান্ত হ ওয়া
৯/ যৌন বাসনা কমে যাওয়া
১০/ রজ:চক্র অনিয়মিত হয়ে যাওয়া
১১/ হাত-পা ঘন ঘন ফুলে যাওয়া
১২/ শরীরে প্রচুর পরিমাণে ঘাম হওয়া
১৩/ রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন ভালো না থাকা।
১৪/ স্মরণশক্তি ও মনোযোগ কমে যাওয়া
১৫/ সকল কিছুর প্রতি অনীহা হওয়া এবং মেজরিট খেতে হয়
১৬/ শরীরের পেশীতে ক্লান্তি ব্যথা এবং দুর্বলতা দেখা দেয়।
১৭/ বিকিরণ চিকিৎসার ঘটনা থাকে
১৮/ বিষের সংস্পর্শে আসার ইতিহাস থাকে
১৯/ মাসিকের  ধরণ পরিবর্তন হয়ে যাবে।
২০/বন্ধত্ব দেখা দেবে।
২১/ ডায়রিয়া হইতে পারে।
২২/ ত্বক পাতলা হয়ে যাওয়া।
২৩/ ঘুমোতে সমস্যা হয়।
২৪/ খাবার খাওয়ার পরপরই বাথরুমের চাপ আসে আসে।


থাইরয়েড বুঝার উপায়

সারা পৃথিবীতে অন্তত ১২% মানুষ থাইরয়েড সমস্যায় ভুগেন। পুরুষদের চাইতে মহিলারা থাইরয়েড রোগে বেশি পরিমাণে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। থাইরয়েড সমস্যার ফলে নানান ধরনের অসুখ-বিসুখ দেখা দিতে পারে। তাই একেবারে শুরুর প্রথম থেকে থাইরয়েড রোগ আছে কিনা সেটা বোঝার চেষ্টা করা উচিত। তাহলেই দ্রুত রোগীকে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া যাবে। তো থাইরয়েড সমস্যা শরীরে আছে কিনা তা জানার জন্য অবশ্যই এই আটটি লক্ষণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। যদি এই আটটি লক্ষণ আপনার মধ্যে দেখা দেয়, তাহলে বুঝে নিবেন আপনার মধ্যে থাইরয়েড হয়েছে। নিচে থাইরয়েড এর আটটি লক্ষণ উল্লেখ করা হলো:
১/ আপনার শরীরের ওজন অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যেতে পারে।
২/ থাইরয়েডের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হচ্ছে ক্লান্তি। অযথাই আপনার শরীরের ক্লান্তি নেমে আসবে। 
৩/বেশি শীত না পরলেও যদি আপনার শরীরে ঠান্ডা লাগে তাহলে বুঝবেন আপনার থাইরয়েড হয়েছে। 
৪/ থাইরয়েডের সমস্যা হলে আপনার চুল বেড়ে যাবে, পড়ে যাবে যা অনেক ক্ষেত্রেই থাইরয়েড সমস্যাটাই দায়ী।
৫/ কোন কাজের ঠিকমতো মনোযোগ দিতে না পারা অথবা সহজে যে কোন কিছু ভুলে যাওয়া এগুলো থাইরয়েড রোগের লক্ষণ।
৬/ মহিলাদের ঋতুস্রাব এর সময় এবং তীব্রতা সমস্যা হতে পারে যা থাইরয়েডের লক্ষণ।
৭/ যারা থাইরয়েড সমস্যা বলছেন তারা অবসাদর কবলে পড়ে যেতে পারেন।


থাইরয়েড এর প্রতিকার:

থাইরয়েড রোগের অবশ্যই প্রতিকার রয়েছে। থাইরয়েড রোগ দূর করার জন্য অবশ্যই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। যেসব খাবারে ভিটামিন এ আছে সেসব খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন গাজর হলুদ গারো শাকসবজি এবং ডিম খেতে পারেন। নারিকেল তেলে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি এসিড আছে যা থাইরয়েড দূর করতে সহায়তা করে। আবার এটি শরীরে এনার্জি প্রদান করে। 
রান্নার জন্য এক্সট্রা ভার্জিন অর্গানিক নারিকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। আপনারা সকালবেলা নাস্তার সাথে দুধের সাথে 2 চামচ নারকেল তেল মিক্সড করে খেতে পারেন। যা আপনার শরীরের জন্য অনেকটাই কার্যকরী। এ ছাড়া আপেল সাইডার ভিনেগার খেতে পারেন। এটা আপনার শরীরে এসিড ও ক্ষারের ভারসাম্য রক্ষা করবে শরীরকে বিষমুক্ত রাখবে শরীর ওজন কমাতে সাহায্য করবে এবং শরীরে হরমোনের নিঃসরণে সহায়তা করবে।


এক গ্লাস উষ্ণ পানিতে দুই চামচ অর্গানিক আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে সাথে কিছুটা মধু যোগ করে এই মিশ্রণটি প্রতিদিন খেতে পারেন। তাহলে আপনি থাইরয়েড প্রতিরোধে অনেকটাই উপকার পাবেন। আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় বাদাম, পনিরসহ প্রচুর ফল, শীমের বীজ, সবুজ শাকসবজি রাখতে পারেন যা আপনাকে অনেকটাই উপকার দিবে। প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করবেন। ব্যায়ামের ফলে শরীরে থাইরয়েড গ্রন্থিতে অক্সিজেন সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। আর যেহেতু আয়োডিনের ঘাটতির কারণে থাইরয়েড রোগ হয় তাহলে অবশ্যই আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন: পেয়াজ, আনারস, টমেটো, বাঁধাকপি, স্ট্রবেরি, রসুন, ভুট্টা খেতে পারেন। 
আর আপনাকে সবসময় প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে, অবশ্যই হাই ক্যালরিযুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। বেশি করে খনিজ লবণ সমৃদ্ধ খাবার খান। ভাজাপোড়া কম খাবেন এবং কার্বোহাইড্রেট কম গ্রহণ করুন। হঠাৎ করে যদি থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে যায় অথবা গ্রন্থিতে প্রচুর পরিমাণে ব্যথা অনুভব হয় তাহলে খুব দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।


থাইরয়েড রোগ নির্ণয়

যখন একটি অতি শক্তি অঙ্গানুও খুব বেশি পরিমাণে থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন করে তখন সেই অবস্থাটি হাইপারথাইরয়েডিজম হিসেবে পরিচিত। এটি সাধারণত গ্রেড বর্নিত বেদের কারণে হয়ে থাকে যা হল একটি সব প্রতিরোধে অনাক্রম্য তন্ত্রের বিশৃঙ্খলা জনিত ব্যাধি। এটি নির্ণয়ের জন্য তিনটি বড় আকারের পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। যার দ্বারা একজন গর্ভবতী মহিলার মধ্যে এই অবস্থাটি নির্ণয় করা সম্ভব হবে।

TSH পরীক্ষা

রক্তের মধ্যে সামান্য পরিমাণ একটি TSH শনাক্তকরণের সক্ষম এবং চূড়ান্ত সংবেদনশীল হিসেবে এই পরীক্ষাটি পরিচিতি। TSH পরীক্ষাটি হল থাইরয়েড ক্রীড়া পরিমাপের জন্য পরিচালিত সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পরীক্ষা। এটি অন্যান্য সকল পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অন্যতম।


T3 পরীক্ষা

যদি TSH পরীক্ষা দিতে মাত্রা গুলি খুব কম দেখায় তখন T থ্রি পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। যদি ট্রিট থ্রি পরীক্ষাতে স্তরগুলো উচ্চমাত্রায় পাওয়া যায় তাহলে এখান থেকেই রোগের বিষয়টি সম্পর্কে সম্পন্নভাবে ধারণা লাভ করা যায়।

T4 পরীক্ষা

টিএসএস পরীক্ষায় মাত্রাগুলো হালকা করা দেখা দিলে কিন্তু টি থ্রী অথবা টি ফোর পরীক্ষাটি করার প্রয়োজন পড়ে প্রয়োজন পড়ে। তখন মাত্রা গুলো গাড় আকারে দেখা গেলে রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়।


থাইরয়েড এর চিকিৎসা

উপসর্গ দেখা দিলে নিজে আন্দাজ করে কোন ধরনের ওষুধ সেবন করা যাবে না। অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে। রোগ সনাক্ত হওয়ার পর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বারবার হরমোন পরীক্ষা করাতে হয়। চিকিৎসক আপনাকে যেই ওষুধ দিবেন সেগুলা নিয়মিত খেলে আপনার হরমোন Replacement হবে। কিন্তু আপনাকে বারবার পরীক্ষা করে হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে হবে। যদি কোন নারী সন্তান চান অথবা গর্ভধারণ করেন তখন ঘন ঘন টেস্ট করার প্রয়োজন পড়ে। 

আরো জানতে ক্লিক করুন:

মাথা ব্যাথার ঘরোয়া চিকিৎসা


যে সব খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে

থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে মাল্টি ক্লিনার বদলে হোল গেইন খাওয়া উচিত। অবশ্যই আপনাকে প্যাকেটজাত খাবার ও পসেস খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। আপনি যদি পাউরুটি ও পাস্তাজাত খাবার বাদ দিতে পারে তাহলে আরো ভালো। মাখন, ফাস্টফুড ও তেলে ভাজা খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। খাবারে অবশ্যই সয়াবিন বাদ দিতে হবে। ফুলকপি, বাধাকপি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। মিষ্টি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার, অ্যালকোহল, কফি ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে। আর সবসময় ব্যায়াম করতে পারলে আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত ভালো।

শেষ কথা

তো আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা, থাইরয়েড কি? থাইরয়েড কেন হয়? থাইরয়েডের ধরন, লক্ষণ, প্রতিকার, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করছি আর্টিকেলটি দ্বারা আপনাদের কিছুটা হলেও উপকার হয়েছে। আর্টিকেলটি অবশ্যই আপনার কাছে ভালো লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই লাইক, কমেন্ট করবেন ও আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দেবেন, যাতে তারাও থাইরয়েড সম্পর্কে জানতে পারে। আর আপনাদের কোন মতামত থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন। আমরা খুব শীঘ্রই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। এই ধরনের নিত্য নতুন টিকস ও ট্রিপস  আরো পেতে হলে সবসময় আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। এতক্ষনে আমাদেরকে সময় দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে এই পর্যন্তই। দেখা হবে পরবর্তী নতুন কোন আর্টিকেলে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন ও সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন