লেবু | লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা

 লেবু | লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা

আসসালামু আলাইকুম। সম্মানিত পাঠক বন্ধুগণ, আমাদের ওয়েব সাইটে আপনাকে সুস্বাগতম। আপনারা জেনে খুশি হবেন আজকে আমি আপনাদের সাথে লেবু, বাতাবি লেবু, বাতাবি লেবুর উপকারিতা, লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব। তো আমাদের আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে লেবু সম্পর্কিত। যা জানা আপনার জন্য খুবই দরকারী। কারণ লেবু আপনার কি কি উপকার করবে বা কি কি ক্ষতি করবে তা জেনে রাখতে পারলে আপনাদের প্রয়োজন মত কাজে লাগবে। তাই আপনাদের উপকারের স্বার্থে লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা জানা খুবই প্রয়োজন।

লেবু | লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা

লেবু

লেবু একটি রসালো ফল। এর রস টক। টক হওয়ার কারণে লেবু পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যেমন লেবুর রস দিয়ে শরবত বানানো হয়। এই লেবুর শরবত সবাই পছন্দ করে। লেবুর শরবত খেলে শরীর ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে। 

লেবুর সঠিক উৎপত্তি সম্পর্কে কারো কোন ধারণা নেই। কিন্তু লেবু ভারতের আসামে, চীনে বা উত্তর বার্মায় সর্বপ্রথম জন্মেছিল বলে সবাই মনে করে।


লেবু | লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা

বাতাবি লেবু

বাতাবি লেবুর একটি প্রজাতি। বাতাবি লেবু হচ্ছে টক মিষ্টি ও স্বাদে ভরপুর। এই লেবু বিভিন্ন পুষ্টিগুণে ও ভরা। এই ফল আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসের দিকে ব্যাপক পরিমাণে পাওয়া যায়। ফল হিসেবে খুবই উপকারী যা বিশেষজ্ঞরা বলেছেন। এটি মানুষের প্রচুর পরিমাণে উপকার সাধন করে থাকে। 

বাতাবি লেবুর হয়তো বাইরের দিকটা একটু শক্ত। কিন্তু ভেতরের ভেতর টা খুবই নরম এবং রসে ভরা। ছোটবেলায় আমরা এটাকে জাম্বুরা মনে করতাম। সেটি জাম্বুরা নয়, সেটি হচ্ছে একটি বাতাবি লেবু। আগের কালে ফুটবলের প্রচলন ব্যাপক পরিমাণে ছিল গ্রামেগঞ্জে। তখন মানুষ বাতাবি লেবু কে ফুটবল মনে করে এই লেবু দিয়ে ফুটবল খেলতে ভালোবাসতো। এটা তুলনামূলকভাবে ভারী হওয়ায় এটিকে লাথি মেরে গোল দিয়ে গোলকি পার করা খুবই কঠিন ব্যাপার ছিল। কখনো কখনো জোরে লাথি মারতে গিয়ে এই লেবু ফেটে ভিতরের রস বেরিয়ে বিভিন্নজনের গায়ে ছিটকে আসতো।


বাতাবি লেবুর উপকারিতা

১/ বাতাবি লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, লাইকোকেন ফাইবার ও কোলাইনে ভরপুর।

২/ বাতাবি লেবুতে অসংখ্য এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন রয়েছে। যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এগুলোর কারণে শরীরে ক্যান্সারে কখনো বাসা বাঁধতে পারে না। বাতাবি লেবুর লাইকোপেন প্রস্টেট ক্যান্সার দূর করনে ব্যাপকভাবে সহায়তা করে।

৩/ এই ফলে রয়েছে ইলেকট্রোলাইটোস। এটি ডিহাইড্রেশন দূর করতে সহায়তা করে। কারণ এই ফলের ৯১ পার্সেন্ট হচ্ছে রসে ভরা।

৪/ এই ফলে রয়েছে অসংখ্য পরিমাণে পেকটিন। এই পেকটিন মানবদেহের লোহিত রক্ত কণিকা থেকে টক্সিনো ও অন্যান্য দূষিত পদার্থের হাত থেকে রক্ষা করে বিশুদ্ধ অক্সিজেন পরিবহনে সহায়তা করে ।


লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা

লেবু সকল বয়সের মানুষদের কাছে খুবই পছন্দের। লেবু শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। লেবুর যেমন উপকারিতা রয়েছে, তেমনি অপকারিতা রয়েছে। তবে উপকারিতার চাইতে অপকারিতা সামান্য পরিমাণ। লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা উল্লেখ করা হলো:

লেবুর উপকারিতা

কোলেস্টেরল কমাতে লেবু 

লেবুতে শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি ও ফাইবার সহ অন্যান্য আরো উপকারী উপাদান রয়েছে।

 এগুলা শরীরের হ্ওরদরোগ, স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এই উপাদান গুলো শরীরে কোলেস্টেরল কমাতে ব্যাপক পরিমাণে সহায়তা করে। আপনি এই উপকারটি পাবেন নিয়মিত লেবুর রস গ্রহণ করলে। এজন্য আপনি নিয়মিত করে একমাস লেবুর রস গ্রহণ করে দেখুন। আশা করছি আপনি ভালো একটি রেজাল্ট পেয়ে যাবেন।


উচ্চ রক্তচাপ কমাতে লেবু

লেবু পানি: লেবু ছোটখাটো মেশিনের সাহায্যে চাপ দিয়ে লেবুর রস টা গ্লাসে নিয়ে নিন। এরপর সেখানে কিছুটা পরিমাণ লবণ দিন। তারপর সেই গ্লাসে গ্লাস ভর্তি পানি দিয়ে চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে লেবুর রস এবং লবণ সেই পানির সাথে মিশিয়ে শরবত তৈরি করুন। তারপর এই শরবত আপনি খেয়ে ফেলুন। এটি আপনার উচ্চ রক্তচাপ সবসময় স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করবে।

লেবু ও কালো মরিচ:

আপনার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে লেবু ও কালো মরিচ খুবই উপকারী। একটি পাত্রে কিছু পরিমাণ কালো মরিচের গুঁড়ো এবং সেখানে লেবুর রস নেক্সট করুন। তারপর এই মিশ্রণ কিছু সময় পরপর পান করুন। মরিচের মধ্যে রয়েছে পাইপেরিন, যা আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করে। এই মরিচের গুড়ো লেবুর রসের সাথে মিক্সড করে খেলে আপনার শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সবচাইতে অধিক পরিমাণ ভূমিকা পালন করবে।

লেবু ও দারুচিনি:

লেবু ও দারুচিনির মিশ্রণ আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই উপকার বয়ে আনবে। লেবুর রসের সাথে দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর এই পেস্ট কুসুম পরিমাণ গরম পানির সাথে পান করুন। তখন দেখবেন আপনার রক্তচাপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসছে।

লেবুর গুঁড়ো:

লেবুর গুঁড়ো শরীরে অধিক পরিমাণে কার্যকরী। একটি পাত্রে লেবুর গুঁড়ো নিন এবং সেই সাথে লবণ অথবা চিনি মিশ্রিত করুন অথবা লেবুর খোসার গুরু মিক্সড করে নিন। তারপর দুই থেকে তিন ঘন্টা রোদে রেখে দিন। রোদে রাখার পর যখন গরম হয়ে যাবে তখন আপনি তা বোতলে ভরে সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ যাবত খেতে পারেন। আপনি এই পাউডার দিনে একবার অথবা সর্বোচ্চ দুইবার খেলেই যথেষ্ট। তাহলে আপনি আপনার কাঙ্খিত উপকার পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ আপনার রক্তচাপ স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে।


লেবুর অপকারিতা

লেবু কি কিডনির জন্য ক্ষতিকর

শেষ কথা

প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে খুব সহজেই লেবু, বাতাবি লেবু, বাতাবি লেবুর উপকারিতা, লেবুর উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে অনেকটাই জানতে পেরেছেন। আপনাদের আরো কিছু জানার বাকি থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে কমেন্ট করে প্রশ্ন করবেন। আপনার সেই প্রশ্ন অনুযায়ী আপনার সামনে আর্টিকেল তুলে ধরব। আজকের মত এখানেই শেষ করলাম আর্টিকেলটি। সবার সুস্থতা ও মঙ্গল কামনা করছি। আসসালামু আলাইকুম।


আরো জানুন:

কাঠ বাদাম | কাঠ বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন