সফটওয়্যার কাকে বলে | সফটওয়্যারের কাজ কি

 সফটওয়্যার কাকে বলে | সফটওয়্যারের কাজ কি

আসসালামু আলাইকুম। পাঠক বন্ধুগণ আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব সফটওয়্যার কাকে বলে, সফটওয়্যার এর বৈশিষ্ট্য, সফটওয়্যার কি, কম্পিউটার সফটওয়্যার কে আবিষ্কার করেন, দশটি সফটওয়্যার এর নাম ইত্যাদি সম্পর্কে।
সফটওয়্যার কাকে বলে | সফটওয়্যারের কাজ কি


সফটওয়্যার কাকে বলে


সফটওয়্যার হল কয়েকটি প্রোগ্রামের যোগ সূত্র যার মাধ্যমে কম্পিউটার বিশেষ বিশেষ কাজগুলো সম্পন্ন করে থাকে। সফটওয়্যার কম্পিউটার হার্ডওয়ারকে বিভিন্ন ধরনের দিকনির্দেশনা দেয় আর কম্পিউটারের হার্ডওয়ার সেই মোতাবেক কাজকর্ম করে থাকে।এক কথায় বলতে পারেন সফটওয়্যার হল কম্পিউটারের এক ধরনের নির্দেশ প্রদানকারী বা প্রোগ্রামের একটি সমষ্টি যা কম্পিউটারের নানান ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা ও সম্পাদন করতে ব্যবহৃত হয়। সফটওয়্যার কম্পিউটারের হার্ডওয়ার গুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন ধরনের কাজের প্রসেস করে থাকে।আরো সহজে আপনি বলতে পারেন, যে প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি কম্পিউটারের হার্ডওয়ারকে কাজে লাগিয়ে কম্পিউটার পরিচালনা করে তাকে সফটওয়্যার বলে।
সফটওয়্যার কাকে বলে | সফটওয়্যারের কাজ কি



সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্য

প্রত্যেকটা কিছুর-ই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে। ঠিক তেমনি সফটওয়্যারের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। নিচে সফটওয়ারের বৈশিষ্ট্য গুলো উল্লেখ করা হলো:
১/ সফটওয়্যার মাধ্যমে আপনি যেকোনো ছবি তৈরি করতে পারবেন বা ডিজাইন করতে পারবেন। যেমন: ফটোশপ, ইলাস্ট্রেটর।
২/সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনার মোবাইল ফোন নিয়ন্ত্রিত হয়।
৩/ সফটওয়্যার মাধ্যমে আপনি যেকোনো কিছু সার্চ করে খুঁজে পাবেন। যেমন google chrome ও মজিলা ফায়ারফক্স ইত্যাদি।
৪/ সফটওয়্যার দিয়ে আপনি আপনার বাসা, অফিস, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসহ সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
৪/ সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনি বাড়ির ড্রইং করতে পারবেন।
৫/ সফটওয়্যার দিয়ে আপনি একটি বিল্ডিং এর স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করতে পারবেন।
৬/ ব্যবসায়িক কাজে হাতে কলমে বা ক্যালকুলেটর দিয়ে হিসাব করা একটু জটিল ও সময় সাপেক্ষ ব্যাপার হয়ে যায়। তো আপনার হিসাব কিতাবকে আরও সহজ করে দেওয়ার জন্য রয়েছে হিসাব করার সফটওয়্যার। আপনি চাইলে এই সফটওয়্যার দিয়ে খুব সহজেই আপনার ব্যবসায়ী রিলেটেড সকল দলের হিসাব কিতাব করতে পারবেন চোখের পলকে।
৭/ সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৮/ আপনার ফোনে যদি বহু অ্যাপ্লিকেশন থাকে সেই অ্যাপ্লিকেশন গুলো আপনি সফটওয়্যার এর মাধ্যমে একটি এপ্লিকেশনে স্টোর করে রাখতে পারবেন।
৯/ আপনার ফোন যদি লক করতে চান তাহলে আপনি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
১০/ আপনার ফোনের মূল্যবান ফাইল, ডকুমেন্টস ও ডাটা গুলো যদি লুকিয়ে রাখতে চান তাহলে আপনি সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
১১/ আপনার ফোন আপনার আশেপাশে থেকেও খুঁজে না পেলে আপনি সফটওয়্যার এর মাধ্যমে খুঁজে পাবেন। অর্থাৎ আপনার ফোনে এমন একটি সফটওয়্যার ইন্সটল করা থাকতে হবে যাতে আপনি আপনার হাতের তালি দেওয়ার সাথে সাথে ফোনটি বাজতে থাকে।

১২/আপনি যদি আপনার ফোনে একটি সফটওয়্যার ইন্সটল করে রাখেন তাহলে চোর যদি আপনার ফোনটি চুরি করে নিয়ে যায় তাহলে আপনি চোরের লোকেশন, কখন ফোনটি চুরি করেছে, চোরের ছবিসহ সবকিছু দেখতে পাবেন।
১৩/ সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারবেন।
১৪/সফটওয়্যার মাধ্যমে লেখালেখি করতে পারবেন। সফটওয়্যার না থাকলে কম্পিউটারে লেখালেখি করা কখনো সম্ভব না।

এছাড়া সফটওয়্যার আরো নানান ধরনের বৈশিষ্ট্য আছে। সফটওয়্যার অনুযায়ী আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। প্রত্যেক সফটওয়ারে নিজস্ব ব্যক্তিগত আলাদা বৈশিষ্ট্য থাকে যেসব বৈশিষ্ট্য অন্য সফটওয়্যারের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলবে না।

সফটওয়্যারের প্রকারভেদ

সফটওয়্যার মূলত পাঁচ প্রকার। নিচে তিন প্রকার সফটওয়্যার এর নাম উল্লেখ করা হলো:

১/ সিস্টেম সফটওয়্যার২/ইউটিলিটি সফটওয়্যার ৩/ এপ্লিকেশন সফটওয়্যার ৪/ প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার৫/ প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার৬/ প্যাকেজ সফটওয়্যার

সফটওয়্যার কাকে বলে | সফটওয়্যারের কাজ কি


সফটওয়্যার গুলোর বিস্তারিত জেনে নেই

সিস্টেম সফটওয়্যার: সিস্টেম সফটওয়্যার পুরো কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ আপনার কম্পিউটার সচল রাখার জন্য যে সফটওয়্যার গুলো প্রয়োজন, যেগুলো ছাড়া আপনার কম্পিউটার চলবে না সেই সফটওয়্যারগুলি হচ্ছে সিস্টেম সফটওয়্যার। এ সফটওয়্যার গুলো আপনার পুরো কম্পিউটার কে নিয়ন্ত্রণ করে। এর উদাহরণ হল: Windows 10, Windows 8, Windows 7, Mac, Android, Compiler, Interpreter, Assembler ইত্যাদি।


ইউটিলিটি সফটওয়্যার: কোন একটি কম্পিউটারকে যদি নির্দিষ্ট করা হয় তাহলে সেই নির্দিষ্ট কম্পিউটারকে ম্যানেজ করার জন্য যাবতীয় সকল কার্যক্রম যে সফটওয়্যার দিয়ে করা হয় তাকে ইউটিলিটি সফটওয়্যার বলা হয়। এই সফটওয়্যার গুলো সাধারণ মানুষ ব্যতীত দক্ষ ও কর্মঠ মানুষরা ব্যবহার করে থাকেন। এ সফটওয়্যার গুলো দ্বারা কোন কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করানো হয়। 
এপ্লিকেশন সফটওয়্যার: কোন স্পেসিফিক অর্থাৎ নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তাকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলে। এপ্লিকেশন সফটওয়্যার শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার রয়েছে। প্রত্যেকটা এপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর কাজ ভিন্ন ভিন্ন। আমরা আমাদের কাজকর্মের দ্রুতগতির জন্য সেই দীর্ঘমেয়াদী বা কঠিন কাজগুলো নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার দ্বারা করে থাকি। এই সফটওয়্যার গুলি হচ্ছে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার নামে পরিচিত।
উদাহরণ: microsoft word, microsoft excel, powerpoint, gmail, google chrome mozilla firefox, অটোক্যাড, থ্রিডিএস ম্যাক্স ইত্যাদি।
প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার: যদি আপনি নতুন কোন সফটওয়্যার বানাতে চান তাহলে অপর একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করতে হবে। এই ধরনের সফটওয়্যারকে বলা হয় প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার। এক কথায় বলতে গেলে কোন নতুন সফটওয়্যার বানানোর জন্য যে সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয় তাকেই প্রোগ্রামিং সফটওয়্যার বলে।
প্যাকেজ সফটওয়্যার: যদি কোন নির্দিষ্ট সফটওয়্যারের ভিতরে আলাদা আলাদা আরো একাধিক সফটওয়্যার পাওয়া যায়, তাহলে সে সফটওয়্যারকে প্যাকেজ সফটওয়্যার বলে। উদাহরণ: যেমন microsoft soft এর ভিতরে অনেকগুলো সফটওয়্যার পাবেন। সেগুলো হচ্ছে পাওয়ার পয়েন্ট, অফিস, এক্সেল, মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, আউটলুক ইত্যাদি নিয়ে মাইক্রোসফট সফটওয়্যার গঠিত।


প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার: কোন ধরনের প্রেজেন্টেশন তৈরি করার জন্য যে সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করা হয় তাকে প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যার বলে। প্রেজেন্টেশন হলো আপনি কোন একটা বিষয়ে রিসার্চ করে তা সম্পর্কে এ টু জেড বিস্তারিত উল্লেখ করে তা আপনার বস বা অফিসারদের সামনে সরাসরি প্রকাশ করবেন। আর এই প্রকাশ করার জন্য আপনাকে এ টু জেড পর্যন্ত সকল কিছুর বিস্তারিত বিষয় নিয়ে একটি বই তৈরি করতে হয়। সেই বইটি কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রেজেন্টেশন আকারে আপনার বসদের সামনে উপস্থিত করতে হয়। এই প্রেজেন্টেশন তৈরি করার জন্য একাধিক সফটওয়্যার রয়েছে। যার যে সফটওয়্যার ভালো লাগে সে সেই সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। তো সকল সফটওয়্যারগুলোর মধ্যে পাওয়ার পয়েন্ট হচ্ছে অন্যতম।
অধিকাংশরাই প্রেজেন্টেশনের ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে থাকেন।

কম্পিউটার সফটওয়্যার কি

কম্পিউটার সফটওয়্যার বলতে বোঝায় একগুচ্ছ প্রোগ্রাম যা সাজ ে কম্পিউটার সকল ধরনের কার্য সম্পাদন করে থাকে। অর্থাৎ কম্পিউটার সফটওয়্যার হলো কম্পিউটার প্রোগ্রামের কিছু সংগ্রহ যা কম্পিউটার কে নির্দেশ করে কি করতে হবে, কখন করতে হবে, কোথায় করতে হবে, কিভাবে করতে হবে ইত্যাদি।

কম্পিউটার সফটওয়্যার কে আবিষ্কার করেন

এলাম তড়িং নামক একজন ব্যক্তি সর্বপ্রথম কম্পিউটার সফটওয়্যার আবিষ্কার করেন। তখন সময়টা ছিল ১৯৩৫ সাল।
সফটওয়্যার কাকে বলে | সফটওয়্যারের কাজ কি


১০টি সফটওয়্যারের নাম

 নিচে দশটি সফটওয়্যার এর নাম উল্লেখ করা হলো:

১/ গুগল ক্রোম: গুগল ক্রোম সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর সকল কিছু সার্চ করে খুঁজে পাবেন। এ সফটওয়্যারটি সারা বিশ্বের মধ্যে জনপ্রিয়। বিশ্বের সকল মানুষ এই সফটওয়্যার অধিক পরিমাণে ব্যবহার করে থাকেন। এই সফটওয়্যার ছাড়া তো কোন কিছু কল্পনাই করা যায় না। আপনার যত কিছু জানা লাগে বা বিশ্বের যত কিছু খুঁজা লাগে আপনি এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে খুঝতে পারবেন।

২/ মাইক্রোসফট: মাইক্রোসফট হলো এমন একটি সফটওয়্যার যেটার মধ্যে আরও একাধিক সফটওয়্যার রয়েছে। যেমন পাওয়ারপয়েন্ট ,ওয়ার্ড, এক্সেল ইত্যাদি। 

আপনি পাওয়ার পয়েন্ট দিয়ে প্রেজেন্টেশনের কাজ করতে পারবেন। ওয়ার্ড দিয়ে আপনি লেখালেখি করতে পারবেন। অফিস আদালতে ওয়ার্ড ও এক্সেল প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়।এক্সেল দিয়ে আপনি লেখালেখি সহ বিভিন্ন ধরনের ফাইল তৈরি করা, ডকুমেন্ট তৈরি করা, স্যালারি শীট তৈরি করা সহ হিসাব কিতাব করতে পারবেন।
৩/ অটোক্যাড: অটোক্যাড সফটওয়্যারটি বিশেষ করে ইঞ্জিনিয়ার সেক্টরে প্রচুর পরিমাণে ব্যবহৃত হয়। অটোক্যাড এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের বিল্ডিং এর প্ল্যান তৈরি করতে পারবেন। আবার অটোক্যাড দিয়ে আপনি বিল্ডিং এর পুরো ড্রয়িং তৈরি করতে পারবেন। এছাড়া অটোক্যাড দিয়ে যেকোনো ধরনের স্ট্রাকচার তৈরি করতে পারবেন। ইঞ্জিনিয়ার সেক্টরে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং উপকারী একটি সফটওয়্যার হল অটোক্যাড সফটওয়্যার।
৪/ ইট্যাবস: এ সফটওয়্যারটি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বিল্ডিং এর স্ট্রাকচারাল ডিজাইন তৈরি করতে হলে এই সফটওয়্যারের প্রয়োজন পড়ে। এ সফটওয়্যার দিয়ে আর সি সি ডিজাইন ও স্টিল স্ট্রাকচারাল ডিজাইন করা হয়।

৫/ থ্রিডিএস ম্যাক্স: বাড়ির অথবা ফ্যাক্টরির সুন্দর সুন্দর ডিজাইন তৈরি করতে হলে থ্রিডিএস ম্যাক্স সফটওয়্যার প্রয়োজন। এই সফটওয়্যার দিয়ে যেকোনো বিল্ডিং এর আকর্ষণীয় ডিজাইন বাস্তবের মত তৈরি করা হয়। এই সফটওয়্যার দিয়ে বাসা বাড়ির ডিজাইন অত্যন্ত সুন্দর, চমৎকার এবং আকর্ষণীয়ভাবে করা হয়। এটি সাধারণত আর্কিটেকচাররা ব্যবহার করে থাকেন। তবে বর্তমানে সিভিল ইঞ্জিনিয়াররাও এই সফটওয়্যার দিয়ে কাজ করে থাকেন।

১০/সাফারি: সাফারি মজিলা ফায়ারফক্স ও গুগল ক্রোমের মতে কাজ করে। সাফারিকে আপনি একটি সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে ধরতে পারেন। কারণ এই সফটওয়্যারটি একটি সার্চ করার অপশন। আপনি সকল ধরনের কিছু সফটওয়্যারে লিখে সার্চ করতে পারেন। তখন আপনার কাছে সেই সম্পর্কিত উত্তর চলে আসবে।

৬/ ইলাস্ট্রেটর: যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে থাকেন তাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত একটি সফটওয়্যার। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইনার ৯০% কাজই করা হয় ইলাস্ট্রেটর সফটওয়্যার দিয়ে। ইলাস্ট্রেটরের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন সাইজের ছবি তৈরি করতে পারবেন, টি-শার্ট ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, পোস্টার ডিজাইন সহ যাবতীয় ডিজাইনের সকল কাজ করতে পারবেন। আবার এই সফটওয়্যার দিয়ে বিল্ডিং ডিজাইন এর কাজও অত্যন্ত নিখুঁতভাবে করা যায়। এই সফটওয়্যারটি এডবির একটি সফটওয়্যার। 
৭/ ফটোশপ: ফটোশপ অত্যন্ত পরিচিত, কমন একটি সফটওয়্যার। বাংলাদেশের আনাছে কানাচে সকল কম্পিউটারের দোকানগুলোতে ফটোশপ সফটওয়্যার দেখা যায়। ফটোশপ দিয়ে ছবি তৈরি করা, বিভিন্ন ডিজাইন সহ যাবতীয় সকল ডিজাইনের কাজ করা হয়। তাছাড়া এ সফটওয়্যারের মাধ্যমে যে কোন কাগজ থেকে কোন লেখা মুছে ফেলা এবং সেই কাগজে নতুন করে লেখা হয়। কোন একটা কাগজের লেখা ভুল হলে সেই ভুলটা এডিট করে দেওয়া হয় ফটোশপ সফটওয়্যার মাধ্যমে।
৮/ কামতাসিয়া: ভিডিও এডিট করার জন্য একটি জনপ্রিয় সফটওয়্যার হলো কামতাশিয়া।  কামতাশিয়া সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি সকল ধরনের ভিডিও নিখুঁতভাবে এডিট করতে পারবেন এবং ভিডিওতে বিভিন্ন ধরনের ইফেক্ট ও ডিজাইন যোগ করে ভিডিও কে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারবেন। যারা ইউটিউবে ভিডিও তৈরি করে থাকেন তাদের কাছে কামতাসিয়া সফটওয়্যারটি খুবই পরিচিত এবং প্রিয় বটে। ইউটিউবারা যদি একটি ভিডিও রেকর্ড করেন তাহলে সেই ভিডিও এডিট করার প্রয়োজন পড়ে। আর ভিডিওটি কামতাসিয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে খুব সহজে এবং নিখুঁতভাবে সকল ধরনের ট্রানজেকশন, লেখা, অ্যানিমেশন, এফেক্টস যোগ করার মাধ্যমে আকর্ষণীয় ভাবে ভিডিওটি এডিট করে সেভ করা হয়। তারপর সেই ভিডিও ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়।
৯/ মজিলা ফায়ারফক্স: গুগল ক্রোম এর মত এটি একটি সার্চ ইঞ্জিন। এখানে আপনি সার্চ করে সকল ধরনের কিছু খুঁজে পাবেন। বিশ্বের সকল তথ্য মজিলা ফায়ারফক্সে আপনি খুব সহজে খুঁজে পাবেন। আপনার যখন যা সম্পর্কে জানতে মন চায় সেটি আপনি মজিলা ফায়ারফক্সে গিয়ে লিখে সার্চ করবেন আর সাথে সাথে আপনার স্ক্রিনে চলে আসবে।

শেষ কথা 

প্রিয় পাঠকগণ, আমাদের আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা সফটওয়্যার সম্পর্কিত যাবতীয় জ্ঞান আরোহন করতে পেরেছেন। আপনাদের যদি সফটওয়্যার বিষয়ক আরো কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন। আমরা সফটওয়্যার সম্পর্কে আরো অনেক নিত্য নতুন তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরব। আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি। সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
আরো জানুন:গ্রাফিক্স ডিজাইন কি | গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন