হোয়াটসঅ্যাপ | হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন | হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক গণ কেমন আছেন? যারা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন তাদের জন্য খুবই সুখবর। কারণ আজকে আমি whatsapp অ্যাপের যাবতীয় সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা আমাদের আজকের আলোচনা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব হোয়াটসঅ্যাপ কি, হোয়াটসঅ্যাপ সফটওয়্যার কিভাবে পাবেন, whatsapp কিভাবে ডাউনলোড করবেন, নাম্বার দিয়ে কিভাবে হোয়াটসঅ্যাপ খুলবেন, হোয়াটসঅ্যাপ কিভাবে ওপেন করবেন, হোয়াটস্যাপ মেসেঞ্জার কিভাবে ব্যবহার করবেন এবং হোয়াটসঅ্যাপ কিভাবে ব্যবহার করবেন। তো চলুন আপনাদেরকে সাথে নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা শুরু করে দেই।
হোয়াটসঅ্যাপ কি
হোয়াটসঅ্যাপ হচ্ছে একটি সোশ্যাল মিডিয়া, যার মাধ্যমে আপনি বিশ্বের যে কোন প্রান্তে ভিডিও অথবা অডিও কলে কথা বলতে পারবেন, টেক্সট করতে পারবেন, ছবি বা ভিডিও পাঠাতে পারবেন। বর্তমান যুগে যারা স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে থাকেন তাদের অধিকাংশরাই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন। কারণ হোয়াটসঅ্যাপ আমাদের মত সকল মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে করেছে খুবই গতিশীল সহজ এবং আরামদায়ক।
হোয়াটসঅ্যাপ সফটওয়্যার
আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে অবশ্যই হোয়াটসঅ্যাপ সফটওয়্যার লাগবে। তো এখন প্রশ্ন হলো আপনি হোয়াটসঅ্যাপ সফটওয়্যারটা কিভাবে পাবেন। আপনার যদি স্মার্ট ফোন থেকে থাকে তাহলে আপনি স্মার্টফোনের প্লে স্টোরে গেলেই হোয়াটসঅ্যাপ সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন। প্লে স্টোর এর সার্চ বক্স এ whatsapp লিখে সার্চ করবেন। তাহলে খুব সহজে হোয়াটসঅ্যাপ সফটওয়্যার পেয়ে যাবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ ডাউনলোড
whatsapp ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্লে স্টোরে যেতে হবে। প্লে স্টোরে গিয়ে আপনি হোয়াটসঅ্যাপ সফটওয়্যার লিখে সার্চ করলে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপটি আপনার মোবাইলে চলে আসবে। এরপর দেখবেন হোয়াটসঅ্যাপ সফটওয়্যার এর ডান পাশে ইন্সটল নামক একটি বাটন আছে। আপনি সেই ইনস্টল নামক বাটনে ক্লিক করে সফটওয়্যারটি ইন্সটল করে নেবেন। ইনস্টল হওয়ার পরে সফটওয়্যারটির ডাউনলোড অপশন আপনার ফোনে চলে আসবে। তারপর ফোনে ডাউনলোড করে নিবেন। তারপর আপনার ফোনে whatsapp application টির সমস্ত ডাউনলোড এবং ইনস্টল প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন হয়ে যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন
আপনি যেহেতু মোবাইল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনার ফোন নাম্বার আছে। হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে অবশ্যই ফোন নাম্বার দিয়ে খুলতে হয়। আপনি হোয়াটসঅ্যাপে ক্লিক করবেন। এরপর আপনার ফোন নাম্বারটা চাইবে। আপনার মোবাইল ফোন নাম্বারটি দিয়ে আপনি সামনের দিকে অগ্রসর হবেন। তারপর আপনার নাম্বারে একটি কোড যাবে। সেই কোড খালি বক্সে বসিয়ে দিবেন। তারপর নাম ঠিকানা দিয়ে দেবেন। ব্যাস আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়ে গেল ফোন নাম্বারের মাধ্যমে।
হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার
যেহেতু হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলতে হয়, তাহলে নিশ্চিন্ত ভাবে বুঝতে পেরেছেন যে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের সাথে আপনার নাম্বার জড়িত। তো এখন কেউ যদি আপনার হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করার জন্য আগ্রহী হয় তাহলে আপনি তাকে কিভাবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপের ঠিকানা দিবেন। শুধুমাত্র আপনি আপনার ফোন নাম্বারটি তাকে দিয়ে দিবেন। তার মোবাইলে অবশ্যই whatsapp থাকতে হবে। তখন সে আপনার নাম্বারটি তার ফোনে সেভ করে নেবে। যখন সে হোয়াটসঅ্যাপে গিয়ে আপনার নাম লিখে সার্চ করবে তখন আপনার নাম্বারটি চলে আসবে আর সেই নাম্বারে হোয়াটসঅ্যাপ থেকে কল দিলে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ একাউন্টে তার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে কল চলে আসবে। তখন আপনারা একে অপরের সাথে কথা বলতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপ মেসেঞ্জার
মেসেঞ্জার হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপের একটি অংশ। মূলত হোয়াটসঅ্যাপের মেসেঞ্জার অপশনে মানুষ তার সকল কার্যক্রম করে থাকেন। মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে মানুষ একজন আরেকজনের সাথে কথা বলে থাকেন টেক্সটের মাধ্যমে, একজন আরেকজনকে ভিডিও পাঠান বা ছবি পাঠান, অপর জনকে ভয়েস এর মাধ্যমে মেসেজ দেওয়া হয়, একে অপরের সাথে অডিও কলে বা ভিডিও কলে কথা বলতে পারে। তো বুঝতেই পারছেন এগুলা সবগুলা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম যেগুলো মেসেঞ্জারের মাধ্যমে করা যায়। কাজেই whatsapp এর মেসেঞ্জার কে হোয়াটসঅ্যাপের প্রাণ বলা হয়। মেসেঞ্জার ব্যতীত হোয়াটসঅ্যাপের কোন মূল্য নেই।
হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহার
whatsapp এর ব্যবহার মূলত অডিও বা ভিডিও কলে কথা বলা। এছাড়া একজন আরেকজনকে ছবি পাঠানো বা ভিডিও পাঠানো বা অডিও পাঠানো ইত্যাদি। এভাবেই আপনি মূলত হোয়াটসঅ্যাপ কে ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপের আরো ব্যবহার বিধি বিস্তারিতভাবে নিচে উল্লেখ করা হলো:
১/ভিডিও বা অডিও কল: আগে আমাদের বাবা বা দাদাদের আমলে যদি আমাদের কোন আত্মীয়-স্বজন বিদেশ থাকতো তাহলে এক নাম্বার থেকে আরেক নাম্বারে কল দিয়ে কথা বলতে প্রচুর টাকা খরচ হত। মন ভরে কখনো কথা বলা যেত না। শুধু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার সাথে সাথে কল কেটে দেওয়া হতো। আর এখন বর্তমানে আপনি চাইলে whatsapp এর মাধ্যমে ভিডিও বা অডিও কলে বিশ্বের যেকোন প্রান্তে যে কারো সাথে মন প্রাণ ভরে কথা বলতে পারবেন। সারাদিন সারারাত আপনি কথা বলতে পারবেন এতে কোন টাকা খরচ হবে না। শুধুমাত্র ওয়াইফাই বিল প্রতিমাসে ৫০ বা ১০০ টাকা আসবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন আমাদের খরচ কেমন কমে গেছে এবং আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা কেমন সহজ ও আরামদায়ক হয়ে গেছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে!
২/ ছবি বা ভিডিও পাঠানো: হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই একে অপরকে ছবি বা ভিডিও পাঠাতে পারবেন। অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকেন যাদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুবই প্রয়োজন। কারণ কাস্টমারের সাথে কন্টাক্ট করে কাস্টমারকে হোয়াটসঅ্যাপে প্রোডাক্টের স্যাম্পল পাঠাতে হয়। তো তখন আপনি সেই প্রোডাক্টের ছবি তুলে বা ভিডিও করে আপনি হোয়াটসঅ্যাপে আপনার কাস্টমারের কাছে পাঠিয়ে দিবেন। কাস্টমার ছবি বা ভিডিও দেখে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে সম্পূর্ণ আইডিয়া করে নেবে এবং আপনার কাছে আপনার প্রোডাক্টর অর্ডার করবে। এভাবে আপনি ব্যবসায়িক কাজেও whatsapp ব্যবহার করতে পারেন।
৩/ ছবি বা ভিডিও অটো সেভ: হোয়াটসঅ্যাপে আপনাকে কেউ ছবি বা ভিডিও পাঠালে সেগুলা কষ্ট করে আপনাকে সেভ করতে হয় না। অটো ভাবে আপনার গ্যালারিতে সেভ হয়ে যায়। হঠাৎ করে আপনার কোন ছবি বা ভিডিওর প্রয়োজন পড়লে আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে যেতে হয়। তো মনে করেন ইন্টারনেট না থাকার কারণে হোয়াটসঅ্যাপে যেতে পারছেন না এবং সেই ছবি বা ভিডিও দেখতে পারছেন না। এই মুহূর্তে আপনি আপনার গ্যালারিতে গেলেই আপনার সেই ছবি বা ভিডিও দেখতে পারবেন কোন ধরনের ইন্টারনেট ছাড়াই।
৪/অফিসিয়ালি ডকুমেন্টস: যারা চাকরি করেন বা অনলাইনে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম করে থাকেন, তাদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুবই দরকারি। আপনাদের বিভিন্ন মূল্যবান ডকুমেন্টস বা ফাইল থাকতে পারে, যেগুলো আপনারা whatsapp এর মাধ্যমে খুব সহজেই একে অপরকে পাঠাতে পারেন। এতে করে আপনার কাজকর্ম আরো খুব সহজ হয়ে যায়। আপনার কোন ডকুমেন্টস এর প্রয়োজন হলে তখন আপনার অফিসের বস বা ম্যানেজার সেটা আপনাকে পাঠিয়ে দিবে। আপনি তা whatsapp থেকে কোন কম্পিউটার দোকানে পাঠিয়ে তাহা প্রিন্ট করে নিতে পারবেন। এভাবে আপনার চাকরি বাকরি অথবা অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন কাজকর্ম আরো সহজ হয়ে গেল হোয়াটসঅ্যাপ এর কারণে।
শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুগণ আপনারা আমাদের আজকের এই আলোচনা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কি, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট কিভাবে খুলবেন, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপ্লিকেশন কোথায় পাবেন, হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বার দিয়ে কি করবেন, হোয়াটসঅ্যাপ কিভাবে ব্যবহার করবেন ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করছি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি দ্বারা আপনারা অনেকটাই উপকৃত হয়েছেন। আর্টিকেলটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে দিবেন। পরবর্তীতে কি নিয়ে আর্টিকেল চান তা জানিয়ে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। আজকের মত এখানেই শেষ করলাম। আসসালামু আলাইকুম।
আরো জানুন: