রক্তশূন্যতা কি | রক্তশূন্যতা দূর করার উপায়
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক গণ, আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব রক্তশূন্যতা কি ও রক্তশূন্যতা দূর করার উপায় সম্পর্কে। আমাদের আজকের আলোচনা আপনারা রক্তশূন্যতার যাবতীয় সকল ধরনের তথ্য পেয়ে যাবেন বলে আশা করছি।
রক্তশূন্যতা কি
রক্তশূন্যতা হচ্ছে রক্তের একটি রোগ। রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে যাওয়াকে রক্তশূন্যতা বলে। রক্ত শোনাতে হলে রক্তে হিমোগ্লোবিন বা লোহিত রক্তকণিকাষ পরিমাণ কমে যায়। রক্তের সঠিকভাবে অক্সিজেন চলাচলে অক্ষমতা দেখা দেয়। রক্তশূন্যতা হলে তার বৈশিষ্ট্য গুলো আস্তে আস্তে বোঝা যায়।
রক্তশূন্যতা হয় কিসের অভাবে
রক্তশূন্যতা রক্ত হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কম হলে। যখন দেখবেন যে আপনার শরীরে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেছে তখনই বুঝবেন দেহে রক্তশূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে।
রক্তশূন্যতার কারন গুলো কি কি
১/ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে রক্তশূন্যতা হয়।
২/ রক্তকণিকা গুলা ভেঙে গেলে রক্তশূন্যতা হয়।
৩/ লিভার সমস্যা, থাইরয়েড যক্ষ্মা ইত্যাদি রোগগুলো যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তাহলে রক্তশূন্যতা হতে পারে।
৪/ আড়ালের ঘাটতিজনিত কারনে সাধারণত রক্তশূন্যতা হয়ে থাকে।
৫/ বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ রজঃচক্র ও পাকস্থলীর ক্ষত ইত্যাদি কারণে রক্তশূন্যতা দেখা দেয়।
রক্তশূন্যতার লক্ষণ গুলো কি কি
১/ চোখ মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যাবে,
২/ দৈহিক দুর্বলতা দেখা দেবে,
৩/ মুখে ঠোটে ঘা দেখা দেবে,
৪/ বুকে চাপ লাগার সৃষ্টি হবে
৫/ অনেক সময় হার্ট ফেলও হতে পারে,
৬/ চোখে ঝাপসা দেখা দেবে,
৭/ আর চিকিৎসকের কাছে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে রক্তশূন্যতা শনাক্ত করতে পারবেন।
রক্তশূন্যতা দূর করার উপায়
১/আয়রন ও ভিটামিন বি জনিত কারণে যদি রক্তশূন্যতা হয়ে থাকে তাহলে কলিজা খাওয়া যায়। কলিজা প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ভিটামিন বি আছে, যাহা রক্তশূন্যতা দূর করবে।
২/ ফলে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। যেমন আপেল কমলা বেদানা পেয়ারা ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। এসব আয়রন সমৃদ্ধ ফলগুলো খেলে রক্তশূন্যতা দূর হয়ে যাবে।
৩/ আপনি যদি আয়রনের ভালো উৎস খোঁজেন তাহলে আপনি মাছকে বেছে নিতে পারেন। সব মাছি কম বেশি আয়রন থাকে বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছের প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও প্রোটিন পাওয়া যায়। এ সামাজিক মাছ যদি নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে আপনার রক্তশূন্যতা থাকবে না।
৪/ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন ও ফলিক এসিড থাকে। লাল শাক, কচু শাক পুঁইশাক ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে যা আপনার রক্তশূন্যতা দূর করবে। আমার ফলিক এসিড আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়িয়ে রক্তশূন্যতা দূর করবে।
৫/ মুগ ডাল, খেসারির ডাল, মুসরের ডাল ইত্যাদি খেতে পারেন। কারণ ডালে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট থাকে। ফোলেট রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
৬/ সয়াবিনের রয়েছে উচ্চ মাত্রায় আয়রন ও ভিটামিন। এগুলা আপনি নিয়মিত খেলে আপনার রক্তশূন্যতা দূর হয়ে যাবে।
৭/মধুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কপার ও ম্যাঙ্গানিজ। এছাড়াও এত রয়েছে আয়রন। কপার ও ম্যাঙ্গানিজ শরীরে হিমোগ্লোবিন তড়িত সহায়তা করে। এটা আপনার রক্তশূন্যতা দূর হয়ে যাবে। প্রতিদিন নিয়মিত এক চামচ মধুর সাথে পরিমাণ মতো লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। ইনশাআল্লাহ আপনার রক্তশূন্যতা আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।
৮/ ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমাদের শরীরে রক্ত কোষ তৈরি করার জন্য ভিটামিন সি জাতীয় যেকোনো ধরনের ফলমূল বা শাকসবজি খেতে হবে। এতেই আমাদের রক্তশূন্যতা দূর হয়ে যাবে।
রক্তশূন্যতা হলে কি খেতে হবে
রক্তশূন্যতা হলে আপনাকে সব সময় খাবারের দিকে একটু নজর দিতে হবে। যে তাদের খাবার খেলে আপনার রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ পূর্ণ হবে সেদিনের খবর অবশ্যই খেতে হবে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি করে খাবেন। তা যে কোন ফলমূল বা শাকসবজি হতে পারে। এ ছাড়া আই আয়োডিন ও প্রোটিন সমৃদ্ধ ফল ও শাকসবজি বেশি করে খাবেন। মধু ও বিভিন্ন ডাল খেতে পারেন। এই দলের খাবারগুলা নিয়মিত পরিমান মত করে খেলে আপনার শরীরের রক্তশূন্যতা দেখবেন আস্তে আস্তে দূর হয়ে গেছে এবং আপনি সুস্থ সবল হয়ে গেছেন।
শেষ কথা
আমাদের আজকের আলোচনা থেকে আপনারা রক্তশূন্যতা দূর করার উপায় সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন। আমাদের উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে যদি চলেন এবং নিয়মিত যদি উপরোক্ত খাবারগুলো খান তাহলে কিন্তু আপনার রক্তশূন্যতা খুব সহজে দূর হয়ে যাবে। রক্তশূন্যতা সম্পর্কে আরো কিছু জানার দরকার হলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন।
আরো পড়ুন: