আবু বকর এর পুরো নাম কি | আবু বকর কিসের জন্য বিখ্যাত ছিলেন

আবু বকর এর পুরো নাম কি | আবু বকর কিসের জন্য বিখ্যাত ছিলেন

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ, অনেকদিন পরে আবারো চলে আসলাম আপনাদের মাঝে। আজকে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্লগ পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের নিকটে। আপনারা যারা মুসলিম আছেন তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব আবু বকর এর পুরো নাম কি এবং আবু বকর কিসের জন্য বিখ্যাত ছিলেন। 

আবু বকর এর পুরো নাম কি | আবু বকর কিসের জন্য বিখ্যাত ছিলেন

আবু বকরের পুরো নাম কি

হযরত আবু বকরের আগের নাম ছিল আব্দুল্লাহ। তার উপাধি ছিল আতিক ও সিদ্দিক। তাকে উপনাম দেওয়া হয়েছিল আবু বকর। ৫৭৪ খ্রিস্টাব্দে আবু বকর জন্মগ্রহণ করেন।


আবু বকর (রা) এর প্রকৃত নাম কি

অনেকে আছেন আবু বকরের প্রকৃত নাম জানেন না। আজকে আবু বকরের প্রকৃত নামও আপনারা জেনে যাবেন। তার প্রকৃত নাম হচ্ছে আব্দুল্লাহ।


আবু বকর কিসের জন্য বিখ্যাত ছিলেন

আবু বকর বিশেষ করে দানশীলতার জন্য বিখ্যাত ছিলেন। তার প্রচুর পরিমাণ অর্থ সম্পত্তি ছিল যেগুলো তিনি যুদ্ধের মধ্যে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন। তাকে দানশীল হিসেবেও খ্যাতি দেওয়া হয়।


আবু বকরের ইসলাম গ্রহণ

আবু বক্কর আমাদের নবীজির থেকে ছিলেন দুই বছরের ছোট। তিনি মক্কার স্থানীয় নেতৃবৃন্দদের মধ্যে একজন। তিনি ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মাত্র আঠারো বছর বয়সে নবীজির সাথে বন্ধুত্বে লিপ্ত হন। সেই সময় থেকে নবীজির সাথে তার নতুন জীবনের সূচনা ঘটে। নবীজির সুখে দুখে বিপদে আপদে সবসময় তিনি ছায়ার মত নবীজির পাশে ছিলেন। তিনি তার ১৮ বছর বয়স থেকে নবীজির ৬৩ বছর বয়স পর্যন্ত নবীজির সাথে খুবই আপন মানুষের মতো ছিলেন। 

নবীজি বলেন, "হযরত খাদিজা রাদিয়াল্লাহু এর পরে যদি কেউ প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তা হচ্ছে আবু বকর রাদিয়াল্লাহ। 


খলিফা আবু বকরের অবদান

ইসলামে খলিফা আবু বকরের অসামান্য অবদান রয়েছে। তিনি ইসলামের জন্য প্রচুর পরিশ্রম ও খেদমত করেছেন। নবীজির পাশে থেকে তিনি ইসলামের সকল কাজে নবীজিকে সহায়তা করেছেন। ইসলামের দাওয়াত দিতে তিনি কখনো কোন যুক্তি খুঁজেননি বা অজুহাত দেখাননি। 

তিনি সর্বপ্রথম কোরআন সংরক্ষণ করেছিলেন এবং যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়েছিলেন।  নবীজির সাথে যখন বিভিন্ন যুদ্ধ সংঘটিত হয় তখন তিনি নবীজির সাথে থেকে যুদ্ধ করেন। যুদ্ধে তিনি তার সর্বোচ্চটা বিলিয়ে দেন।

নবীজির যখন মৃত্যু হয়েছে তখন দাফন কাফন সম্পন্ন হয়নি। কিন্তু এই মুহূর্তে শুরু হয়েছে খেলাফত নিয়ে ব্যাপক দ্বন্দ্ব। এরপর আবু বকর রহমাতুল্লাহ একটি হাদিসের বাণী শোনান: কুরাইশরা খেলাফতের দায়িত্বের মূল অধিকার।

 এরপর আনসাররা তাদের দাবি প্রত্যাহার করে এখান থেকে সরে পড়েন। এভাবে তিনি একটি মীমাংসা করেন।

নবীজির মৃত্যুর পর মানুষের ঈমান দুর্বল হয়ে পড়ে এবং ধর্ম নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু নিজ দায়িত্ব থেকে এ ধরনের সমস্যাগুলোর সমাধান করেন এবং মানুষের মধ্যে আবার নতুন করে ঈমান আনার ব্যবস্থা করেন। তিনি মানুষদের মধ্যে বিভিন্ন হাদিসের মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের সক্রিয়তা আবার জারি করে ধর্মের পথে মানুষকে অনুপ্রাণিত করেন।  

নবীজির মৃত্যুর পর উন্মুক্ত তলোয়ার হাতিয়ে নিয়ে হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু এর মত বীর বাহাদুর বলতে লাগলেন: যে ব্যক্তি বলবে নবীজি মারা গেছেন তার গর্দান কাটা যাবে।

এমন পরিস্থিতিতে হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু এগিয়ে আসেন এবং পরিস্থিতি অনুকূলে নিয়ে আসেন তার জ্ঞান দ্বারা।

নবীজির মৃত্যুর পর যখন মুসলিমগণ দুর্বল হয়ে পড়েন ধর্মের দিক দিয়ে, ঠিক তখনই তিনি মুজাহিদ বাহিনীকে বারটি ভাগে বিভক্ত করেন এবং প্রত্যেক ভাগে আলাদা আলাদা অঞ্চলের জন্য আলাদা আলাদা সেনাপতি নিযুক্ত করেন। যার ফলে সবাই সবার কার্যক্রম দ্বারা মুসলমানদের মনে ইসলাম ধর্মের প্রতি সাহস ও দৃঢ় বিশ্বাস জুগিয়ে আনেন। 

শেষ কথা

আমাদের উপরোক্ত আজকের আলোচনা থেকে আপনারা খুব সহজেই আবু বকর রাদিয়াল্লাহু সম্পর্কে একটি ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন। আপনাদের আবু বকর রাদিয়াল্লাহু এর সম্পর্কে আরো কিছু জানার প্রয়োজন থাকলে অবশ্যই আমাদেরকে প্রশ্ন করবেন। আমরা আমাদের উত্তর আরেকটি নতুন আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদেরকে দিয়ে দেব। আসসালামু আলাইকুম।


আরো পড়ুন:

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
















একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন