সূচনা
প্রিয় পাঠক, আসসালামু আলাইকুম। আজকে আমরা ওজন কমানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করব। ওজন যাদের ওজন বেশি তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা ওজন নিয়ে খুবই চিন্তিত আছেন আমি আশা রাখবো তারা সবাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে অবহিত হবেন। যার ফলে আপনারা শীঘ্রই আপনাদের ওজন কমই উঠতে পারবেন এবং ওজন কমানোর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হবেন। তাহলে বুঝতে পারছেন আজকের আর্টিকেলটি কেমন টা গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে আমাদের আজকের আলোচনা "ওজন কমানোর উপায় নিয়ে" শুরু হয়ে যাক।
ওজন কি
ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে হলে আমাদেরকে প্রথমে জানতে হবে ওজন কি। ওজন হল কোন বস্তুর উপর অভিকর্ষ ক্ষেত্র দ্বারা প্রযুক্ত বলার মানে হলো ওজন। ওজনকে w দ্বারা প্রকাশ করা হয়। কোন বস্তুর ভর m হলে, তার অভিকর্ষজ ত্বরণ g হলে, ওজন হল, w = mg।
মানুষের ওজন কি
মানুষের ওজন বলতে সাধারণত আমরা বুঝি একটি মানুষের শরীরে সর্বমোট ভরের পরিমাণ। ওজনকে আমরা সাধারণত কিলোগ্রামে প্রকাশ করে থাকি। কিলোগ্রামের সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে কেজি।
ওজন কমানোর উপায়
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু কিছু মানুষের ওজন পরিমাণ এর চাইতে বেশি হয়ে থাকে। এতে করে মানুষের শরীরের নানানবিদ সমস্যা সৃষ্টি হয়। মানুষের কাজকর্ম করা হাঁটা চলাফেরা করতে নানবিদ অসুবিধা সৃষ্টি এবং শরীরের রোগ ব্যাধির পরিমাণ বাড়ে। ওজন বেশি হলে হৃদরোগ ,ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, সন্ধিবাত সহ নানবিদ অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।
আজকে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হবে। আপনারা চাইলে আপনাদের শরীরের ওজন নানানবিধ উপায়ে কমাতে পারবেন। তাহলে চলুন আমরা একটু জেনে নেই কিভাবে আমাদের শরীরের ওজন আমরা কমাতে পারি।
ওজন কমানোর উপায় ডায়েট
ডায়েট হল ওজন কমানোর সর্বপ্রথম শর্ত। আপনাকে সঠিক মাথায় খাবার সেবন করতে হবে। ভাজা পোড়া এবং তেলজাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না। সবসময় শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। খাবারের পরিমাণ একটু অল্প করে খেতে হবে। দিনে অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। চিনি জাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। এই নিয়মগুলা মেনে চলতে পারলে আপনার ওজন খুব দ্রুত কমে যাবে।
ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায়
ওজন কমানোর ঘরোয়া উপায় বলতে আপনি বাসায় থেকে ওজন কমানো যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। যেমন আপনাকে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। শুধু ব্যায়াম করলেই হবে না ওজন কমানোর জন্য যেসব ব্যায়ামগুলা দরকার সেসব ব্যায়াম করতে হবে। খাবারে নিয়ন্ত্রণ আনতে হবে। চর্বি, তেল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। নিয়মিতো পানি সেবন করতে হবে।
ঘুমিয়ে ওজন কমানোর উপায়
আপনি চাইলে ঘুমিয়ে ওজন কমাতে পারবেন। তবে সঠিকভাবে আপনাকে ঘুমাতে হবে। ঘুমের মাধ্যমে আপনার হরমোন নিয়ন্ত্রণ থাকে, যার ফলে ওজন কমতে থাকে। বেশি পরিমাণে ঘুমালে আপনার মধ্যে খিদা কম আসবে। যার ফলে আপনি কম খাবেন এবং ওজন কমে যাবে। আমার পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনার শরীরে ম্যাপটাবলিজম ভিড় হয়ে যাবে যার ফলে ক্যালরি কম পড়ে এবং ওজন প্রতিনিয়ত বাঁধতে পারে। কাজেই সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।
প্রতিনিয়ত কমপক্ষে সাত থেকে নয় ঘন্টা ঘুমাবেন। রুটিন করে আপনাকে সবসময় ঘুমাতে হবে। আর ঘুমানোর সময় বা ঘুম থেকে উঠে প্রতি দিনের বদ অভ্যাস যেমন চা নাস্তা কফি খাওয়া ইত্যাদি থেকে দূরে থাকতে হবে।
রোজায় ওজন কমানোর উপায়
আমরা যারা মুসলিম আছি তারা বছরের মধ্যে একমাস রোজা রাখি। রোজা রাখলে আমরা ভোরবেলা খাবার খাই এবং সন্ধ্যায় ইফতার করি। এর ফলে সারাদিন আমরা না খেয়ে থাকি। যার ফলে আমাদের ওজন কমে যায়। তো যাদের ওজন বেশি, তারা চাইলে রোজা রেখেও নিজের শরীরের ওজন কমাতে পারেন।
ওজন কমানোর ইসলামিক উপায়
ইসলামে ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আপনি ইসলাম ধর্মের যাবতীয় নিয়ম মেনে চলল আপনার শরীরের ওজন কমাতে পারবেন। যেমন ইসলামে রোজা রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। আপনি যদি নিয়মিত রোজা রাখেন তাহলে আপনার ওজন কমবে। এছাড়া ইসলামে অতিরিক্ত খাবার অপচয় করা থেকে নিষেধ করা হয়েছে। তো আপনি যদি খাবারের বিষয়ে মিতব্যয়ী হন তাহলে অবশ্যই আপনার ওজন কমবে। এছাড়া ইসলামে শারীরিক পরিশ্রমের প্রতিও জোড় প্রদান করা হয়েছে। আপনি নিয়মিত হাটা চলাফেরা করলে প্রেম করলে পরিশ্রমের কাজ করলে আপনার ওজন কমে যাবে। তাছাড়া ইসলামে ধৈর্য ও নিয়ম কানুনের কথা বলা হয়েছে। উপরোক্ত নিয়ম কানুন ধৈর্য সহকারে মেনে চললে আপনার শরীরের ওজন কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ওজন কমানোর ঔষধ
বাজারে ওজন কমানোর জন্য নানান ধরনের ঔষধ পাওয়া যায়। ডাক্তারদের সাথে অবশ্যই পরামর্শ করে আপনি ওষুধ সেবন করতে পারেন। যার ফলে আপনার ওজন কমে যাবে। বিনোদনের ঔষধ রয়েছে যেগুলো আপনার খিদার পরিমাণ কমিয়ে দিবে। এতে করে আপনি কম খাবেন এবং আপনার ওজন কমবে। এছাড়া কিছু ওষুধ আছে আপনার খাবার থেকে চর্বি শোষণ করে নেবে, যার ফলে ওজন কমে যাবে। কিছু কিছু ওষুধ আছে যেগুলো শরীরের মেটাবলিজম বাড়ায়। এতে করে শরীরে অধিক পরিমাণে ক্যালরি পুড়ে নষ্ট হয়ে যায় এবং ওজন কমতে থাকে।
রেজ্জাকবা উচ্চ রক্তচরণের সমস্যা থাকলে কখনোই ওজন কমানোর ওষুধ খেতে পারবেন না। গর্ভবতী মহিলা বা দুধ খাওয়ানো মহিলাদের কে ওজন কমানোর ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারো যদি কিডনি পারলি করার সমস্যা থাকে সে ওজন কমানোর ওষুধ খেতে পারবে না।
ওজন নিয়ন্ত্রণে খাদ্য
ওজন কমাতে হলে খাদ্যে যোগ করতে হবে আমিষ। অনেকে মনে করেন আমি জাতীয় খাবার খেলে ওজন বেড়ে যায়। আসলে আমি ধীরে ধীরে হজম হয় বলে সহজে ক্ষুধা লাগে না। আমি পেটের ভিতরে মেদ জমতে দেয়না। যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে ।
কোমল পানীয় আপনাকে অবশ্যই পরিহার করতে হবে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ ে চিনি বা কেলভি থাকে যা ওজন বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ ভূমিকা রাখে।
সস খাওয়া বাদ দিতে হবে। সব খাবার খাওয়ার সময় একটু স্বাদ সৃষ্টি করে যার ফলে আপনি অধিক পরিমাণে খাবার খান। কাজেই সস খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে।
এছাড়াও ওজন কমাতে হলে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
সহজে ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানোর জন্য খাবারের সাথে অবশ্যই ফাইবার রাখবেন। ফাইবার যুক্ত খাবার সহজে হজম হয় না বলে পেটে দীর্ঘ সময় থাকে এবং ক্ষুধা কম থাকে । যার ফলে আপনি অল্প পরিমাণে খাবেন। পেট ভরে খাবার খাওয়ার প্রয়োজন নাই।
তাড়াতাড়ি ওজন কমানোর উপায়
ওজন কমানো একটি ধীর গতি প্রক্রিয়া। আপনি চাইলে মুহূর্তের মধ্যে আপনার ওজন কমাতে পারবেন না। তবে হ্যাঁ সঠিকভাবে নিয়ম কানুন মেনে চললে আপনার ওজন আস্তে আস্তে কমে যাবে। উপরোক্ত নিয়মগুলো দৈনন্দিন জীবনে মেনে চলুন, দেখবেন আপনার ওজন আস্তে আস্তে কমে যাবে।
উপসংহার
প্রিয় পাঠক গণ, আমাদের আজকের আর্টিকেলে আপনারা ওজন কমানোর নানান রকম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটি ধারা আপনাদের কিছুটা হলে উপকার হয়েছে আশা করছি। এই ধরনের আর্টিকেল পেতে হলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত থাকবেন। আপনার কোন মন্তব্য থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন। আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করলাম। ফিরে আসবো নতুন কোন ব্লগ আর্টিকেল নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই সুস্থ থাকবেন, ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
Category:
health